বেহালা চড়কতলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই যুব সভাপতি বাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন এলাকার বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। যদিও এখনও অধরা অভিযুক্তরা। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের আত্মসমর্পণ করার বার্তা দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ নয়, দুটো পাড়ার ঘটনা।’
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? আজ, বৃহস্পতিবার বেহালা চড়কতলার বোমা–গুলির ঘটনা নিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বেহালা পূর্বের বিধায়ক আমি, বেহালায় এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন দিদি। বেহালা থানার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। দিদি বলেছেন, দোষীরা শাস্তি পাবেই। লুকিয়ে থেকে লাভ নেই, আত্মসমর্পণ করুক। এটা দুটো পাড়ার ঘটনা, তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। দলের নাম ভাঙিয়ে লাভ নেই। আমি নিজে এলাকা ঘুরে দেখেছি।’ বিধায়কের এই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ দুটি পাড়ার ঘটনা ঘটলে এখানের যুব সভাপতিকে বহিষ্কার করা হল কেন? উঠছে প্রশ্ন।
বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিলেও তিনি বলেন, ‘যেই দোষী হোক না কেন, শাস্তি পেতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। ১২১নং ওয়ার্ডে বারবার দুটো দলের মধ্যে গোলমাল হয়, কখনও গুলির খোল মিলছে, বাবনের বিরুদ্ধে অনেকে নালিশ করেন। বাবনের বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ জমা পড়েছে, সে ব্যাপারে দলীয় নেতৃত্ব জানেন। কাউন্সিলরকে বলেছি যেভাবে হোক এলাকা শান্ত করতে হবে।’ এই মন্তব্যেও বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কারণ এই বাবনও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িত।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেহালার চড়কতলা। সেখানে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বোমা–গুলি পর্যন্ত চলে। পুলিশের সামনেই ইটবৃষ্টি, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। চড়কমেলার দায়িত্ব নিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।