বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > TMC MLA-MP: পদ্ম–গৃহে কেন সুদীপের পদধূলি? সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি প্রশ্ন তুললেন তাপস রায়

TMC MLA-MP: পদ্ম–গৃহে কেন সুদীপের পদধূলি? সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি প্রশ্ন তুললেন তাপস রায়

তাপস রায়।

জানা গিয়েছে, উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে সুদীপ–তাপস বিপরীত মেরুতে অবস্থান করেন। একুশের নির্বাচনের পর সুদীপকে সরিয়ে তাপসকে উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছিল। আবার ২০২২ সালের ৮ মার্চ নজরুল মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি দায়িত্ব ফিরিয়ে দেন সুদীপের হাতে।

তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধানসভায় দলের মুখ্যসচেতক তাপস রায়ের মধ্যে সম্পর্কের দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গেল। তবে শুরুটা করলেন তাপস রায়ই। বরাবরই দলের একনিষ্ঠ নেতা তাপস রায় অত্যন্ত সৎ মানুষ বলেই পরিচিত সর্বত্র। সেখানে তিনিই আজ, মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সুদীপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। উত্তর কলকাতায় বিজেপি নেতার বাড়িতে কলকাতা উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কেন গিয়েছিলেন?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন তাপস রায়। আর এই নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

ঠিক কী বলেছেন তাপস রায়?‌ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি নেতার বাড়িতে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে তাপস রায় সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‌দলের উচিত যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দলের কাছে আনুগত্য দেখিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আস্থা রাখা। দলে এমন অনেক লোক রয়েছেন যাঁরা দলনেত্রীকে নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছেন। সঙ্গে বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। উত্তর কলকাতা বিজেপির সভাপতি হয়েছেন তমোঘ্ন ঘোষ। তাঁর ও তাঁর পিতার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই কথা সকলেরই জানা। এবার দুর্গাপুজোয় তমোঘ্ন ঘোষের বাড়িতে আমন্ত্রিত ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং কল্যাণ চৌবে। প্রত্যেকেই পুজোর একদিন সেখানে গিয়েছিলেন।’‌ আজ হঠাৎ এভাবে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বেড়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ প্রয়াত সোমেন মিত্রের হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন তমোঘ্ন। আর একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তমোঘ্ন যোগ দেন বিজেপিতে। তাপস রায় দাবি করেছেন, ‘তমোঘ্নকে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সভাপতি করতে চেয়ে তাঁকে তৃণমূলনেত্রীর কাছে নিয়ে গিয়ে দরবার করেছিলেন সুদীপ। সেটা সবারই জানা।’ আর গত সোমবার উত্তর কলকাতা বিজেপি সভাপতি পদ থেকে কল্যাণকে সরিয়ে সেই জায়গায় আনা হয়েছে তমোঘ্নকে। সেখানে তাঁর বাড়িতে সুদীপ আমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

কেন এই দ্বৈরথ শুরু হল?‌ জানা গিয়েছে, উত্তর কলকাতার রাজনীতিতে সুদীপ–তাপস বিপরীত মেরুতে অবস্থান করেন। একুশের নির্বাচনের পর সুদীপকে সরিয়ে তাপসকে উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছিল। আবার ২০২২ সালের ৮ মার্চ নজরুল মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি দায়িত্ব ফিরিয়ে দেন সুদীপের হাতে। তখন নেত্রী জানিয়ে ছিলেন, সুদীপের অনুরোধেই তাপসের থেকে দায়িত্ব নিয়ে আবারও লোকসভার দলনেতার হাতে সভাপতির দায়িত্ব দিচ্ছেন তিনি। তখন থেকেই তাপস–সুদীপ সম্পর্কে চিড় ধরে। যদিও এখন সুদীপবাবুর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

বন্ধ করুন