মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বিজেপি–সিপিআইএম। এই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগোবাংলায় করা হয়েছে। কারণ কালীপুজোর দিন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে হঠাৎ গিয়ে বৈঠক করেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যদিও কালীপুজোর পরে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির পক্ষ থেকে আগে বহুবার সরকার ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তারপর সিপিআইএম নেতার সঙ্গে বিজেপির সাংসদের বৈঠক ‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’ পথে হাঁটা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুকান্ত মজুমদার এই সরকার ফেলে দেওয়ার কথা বলেছেন। এমনকী ডিসেম্বর মাসেই সরকার দুর্বল হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার গোপনে বাংলা–বিহারের কিছু অংশ নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার পরিকল্পনা করছে। তাই তার প্রতিবাদ করা হচ্ছে। বিজেপি এখান থেকে এই চক্রান্তে মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। আর এই সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্তে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সিপিআইএম। নতুন এই অভিযোগে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম।
কী ঘটেছে সিপিআইএম–বিজেপির মধ্যে? সম্প্রতি শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেখানে সিপিআইএমকে তাঁদের পাশে থাকার জন্য বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিজেপিকে সমর্থন করতে বলা হয়েছে। তাহলেই এই তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়া সম্ভব হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসে সরকার ফেলে দেবেন এবং তাদেরকে সঙ্গে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। সিপিআইএম–বিজেপির এই গোপন আঁতাত হয়েছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর।
ঠিক কী বলছেন সিপিআইএম–বিজেপি নেতা? এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বলার কিছুই নেই। মাথা খারাপ হয়ে গেলে উল্টোপাল্টা বকে। বিজেপির সঙ্গে চক্রান্ত করে তৃণমূল চিরকাল চলেছে এবং চক্রান্ত করেই তৃণমূল নেতারা এখনও জেলে টিকে রয়েছেন। যা ওরা নিজেরা করে, আয়নার সামনে দাঁড়ায়, ভুতের মতো নিজের চেহারা দেখে আর সিপিআইএমের ঘারে ফেলে দেয়।’ আর দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বাইরে থেকে কারও চক্রান্ত করার প্রয়োজন নেই। সরকার এবং দলের মধ্যে এত চক্রান্ত চলছে তাই সামলে উঠতে পারছে না। সরকার পড়লে তাদের জন্যই পড়বে।’