বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ থেকে দিলীপ ঘোষকে সরানো এবং সেখানে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে আসা হয়। এই পর্ব নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কুণালের মতে, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই পদ খোয়ালেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ।
এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এটা বিজেপির একেবারে অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখানে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। বিজেপির মধ্যে তো অনেক গোষ্ঠী। এখন দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন গোষ্ঠী তাঁর বিরুদ্ধে কি বলেছেন সেটা দিলীপবাবু বুঝবেন। এখন তিনি কী করবেন সেটা দিলীপবাবু নিজেই ভাববেন। তিনি আরএসএস–এ ফিরে যাবেন নাকি বিজেপি করবেন, সেটা তাঁর ব্যাপার। তিনি তো এখনও সাংসদ আছেন। আসলে দুই গোষ্ঠীর সংঘাতে দুর্ঘটনায় অপমৃত্যু।’
দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি করা হয়েছে। অর্থাৎ মুকুল রায়ের ছেড়ে যাওয়া আসনে দিলীপ ঘোষকে বসানো হয়েছে। আসলে রাজ্য সভাপতি তরুণ মুখ না করলে সংগঠন উজ্জীবিত হচ্ছে না। তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। আবার দিলীপ ঘোষকে সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি করে আদি নেতাদের উপর ভরসা রাখা হবে সেই বার্তাও দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই এই নাটকীয় রদবদল বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিবৃতি অনুযায়ী, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার নির্দেশেই এই রদবদল। এই পদেই আগে ছিলেন মুকুল রায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যান তিনি। এমনকী সদ্য দলত্যাগ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের সঙ্গে দিলীপের সম্পর্ক সকলেরই জানা। এমনকী একের পর এক বিধায়কেরও ঘরওয়াপসি হয়েছে বিজেপিতে। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল দিলীপ ঘোষের ভূমিকা এবং নেতৃত্ব নিয়ে। বিজেপিতে একের পর এক ভাঙনের জেরেই কি দিলীপ ঘোষকে অপসারণ করা হল? উঠছে প্রশ্ন।