আমেরিকায় অভিষেকের বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে অস্ত্রোপচার হল। এই অস্ত্রোপচার করতে ৭ ঘণ্টা সময় লেগেছে বলে খবর। আর এই সময়সাপেক্ষ অপারেশন নিয়ে কালীঘাটের বাসভবনে উদ্বেগে ছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক এথন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাছাড়া ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। কালীঘাট সূত্রে খবর, প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে সেই অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাতে ঝুঁকি ছিল। তবে অপারেশন সফল হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ঠিক কী হয়েছিল অভিষেকের চোখে? এটা ৬ বছর আগের ঘটনা। তাঁর চোখের ক্ষত হয়েছিল দুর্ঘটনায়। ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর মুর্শিদাবাদে কর্মিসভা সেরে ফেরার সময় সিঙ্গুরের কাছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। তখন তাঁর বাম চোখের নীচে গুরুতর আঘাত লাগে এবং ক্ষত তৈরি হয়। চোখের নিচের হাড় ভেঙে যায় বলেই চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাঁকে কলকাতায় এনে বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই ক্ষতেরই অস্ত্রোপচার হল। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর চোখে একবার অপারেশন হয়েছিল। আর ২৯ জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের এক কর্মসূচিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘এই নিয়ে ৬ বার চোখ অপারেশন হল। তাই কিছুদিন বাড়িতে বসেই কাজ করবে অভিষেক।’
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই ঘটনার পর থেকে নানা চশমা বদল করতে দেখা গিয়েছে অভিষেককে। কারণ চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বাড়িতে কিছুদিন বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শও ডাক্তাররা দিয়েছিলেন। ওই চোখে রোদ লাগাতে নিষেধ করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই অস্ত্রোপচারের পরেও সম্পূর্ণ চোখ ঠিক হয়নি। তাই তাঁকে হায়দরাবাদে আবার চিকিৎসার জন্য যেতে হয়েছিল। এবার আশা করা যাচ্ছে তাঁর চোখ পুরোপুরি ঠিক হয়ে যাবে।
কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিকিৎসার জন্য তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলাও এখন আমেরিকায় রয়েছেন। আর কলকাতায় উদ্বেগে রয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলেটা খুব ভুগছে। ঠাকুর ঠাকুর করে এবারের অপারেশনটা ভাল হলেই ভাল। না হলে ওর দৃষ্টিশক্তি নিয়ে সমস্যা হতে পারে।’ একুশের নির্বাচনে একা কাঁধে করে দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক। তাই তাঁর উপর ভরসা করছেন নেত্রী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।