আজ, তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাই। কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন শহর কলকাতার ধর্মতলার প্রাণকেন্দ্রে। আর এই হাইভোল্টেজ সমাবেশ হচ্ছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পর। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সাময়িক বিরতি নেন সংগঠন থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর আজকের সমাবেশে আবারও চেনা মেজাজেই ধরা দিলেন দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সাধারণ মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি, বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন। রবিবার এখানেই অভিষেক জানান, রাজনৈতিক স্বার্থে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছিল বিজেপি সরকার। এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে মোক্ষম জবাব দিয়েছেন বাংলার মানুষ।
এই বঞ্চনা করে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি মদের পিছনে টাকা উড়িয়েছে বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালিতে একটা চিত্রনাট্য সাজিয়ে বাংলাকে গোটা দেশের সামনে অপমানিত করা হয়েছিল। আপনারা দেখেছেন, সন্দেশখালিতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল বলেছেন, ভোটের দিন প্রতি বুথে বিজেপির মদের খরচ ছিল ৫ হাজার টাকা। একটা বুথে যদি ৫ হাজার টাকা মদের খরচ হয়, তাহলে ৮০ হাজার বুথে মদের খরচ কত?’ বিজেপি যে কোনও ভাল লোক করে না সে কথাও বলেছেন অভিষেক।
বিজেপি মদের খরচ নিয়ে একটি হিসাবও বাংলার মানুষের সামনে তুলে ধরেন একুশের মঞ্চ থেকে। অভিষেকের বক্তব্য, ‘বাংলায় মোট ৮০ হাজার বুথ রয়েছে। একটি বুথে ৫ হাজার টাকা খরচ হলে, নির্বাচনের দিনে শুধু মদের পিছনেই ৪০ কোটি টাকা খরচ করেছে বিজেপি। এটাই ওদের সংস্কৃতি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজের ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিয়েছেন। যা দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। এখানেই পার্থক্য। আমরা গরিবের ভাতের জন্য তাঁদের পাশে দাঁড়াই। আর বিজেপি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা করে, মদ খাওয়াতে ৪০ কোটি টাকা খরচ করে।’
আরও পড়ুন: ‘যারা মসনদে এসেছে তারা কিছুদিনের অতিথি’, মমতাকে পাশে নিয়ে বার্তা অখিলেশের
কিন্তু কারা এই মদ খায়? নিজেই প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। আর উত্তরও তিনিই দেন। এই দল কোনও ভাল লোক করে না বলে দাবি ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের। তাঁর কথায়, ‘আপনারা ভাবছেন ৪০ কোটির মদ কে খায়? পাড়ায়, নিজের এলাকায়, ডানদিক বাঁদিক, আগে–পিছনে দেখবেন, কোনও ভদ্র, সভ্য লোক বিজেপি করে না। সব মদ্যপ–মাতাল, দুর্নীতিগ্রস্ত, চোর–চিটিংবাজ বিজেপি করে। তাই এদের বর্জন করেছে মানুষ। ওরা নরেন্দ্র মোদী, ইডি–সিবিআই, কেন্দ্রীয় বাহিনী, টাকা এবং বিচারব্যবস্থার গর্জনে বিশ্বাস করেছিল। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম মানুষের গর্জনে। জনগণের গর্জন কী সেটা এখন বিজেপি বুঝে গিয়েছে।’