প্রত্যেক বছর ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। এই বছর দেশ তার ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপন করছে। তাই এবার আয়োজন করা হয়েছে বিশাল কুচকাওয়াজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দেশের নানা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে আসা সুসজ্জিত ট্যাবলোর প্রদর্শনী দেখেছে সকলেই। এই দিনে রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, রবিবার ‘আত্মসমীক্ষা’র বিষয় উল্লেখ করেন তিনি। সঙ্গে সকলকে জানান শুভেচ্ছাও।
এদিকে ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্বের মধ্যেই সাধারণতন্ত্র নিহিত আছে বলে জানিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। এই দিনে সংবিধানে নিহিত আদর্শগুলিকে সম্মান করার দিন হিসেবেই মনে করিয়ে দেন অভিষেক। তাই তো এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, ‘ভারত যখন তার ৭৬তম সাধারণ দিবস উদযাপন করছে, আমরা আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠাতাদের প্রদত্ত গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি স্মরণ করি—এমন একটি সাধারণতন্ত্র যা ন্যায়, স্বাধীনতা, সমতা এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে দাঁড়িয়ে। এটা সেই দিন, যেখানে আমাদের সংবিধানে সংবলিত আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং আমরা কতটা উন্নীত হয়েছি তা নিয়ে চিন্তা করা হয়।’
অন্যদিকে আজ রেড রোডে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেখানে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আমরা যেমন আমাদের সাফল্যে গর্বিত, তেমনই এটা আত্মবিশ্লেষণেরও সময়। আমাদের গণতন্ত্রের শক্তি নিহিত আছে তার প্রতিষ্ঠানগুলিতে, সমাজের সকলের যোগদানে এবং এর অর্থনীতির ন্যায়পরায়ণতায়। আজ, আসুন আমরা এক সাধারণতন্ত্র নির্মাণের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করি। যা শুধু শক্তিশালী নয়, সহানুভূতিশীলও বটে, শুধু সমৃদ্ধ নয় বরং সকলের অংশগ্রহণে।’ তাই দেশের উন্নতিতে সকলকে আহ্বান করেন তিনি।
আরও পড়ুন: এবার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা রাজ্যের হাতে নয়, নয়া পদক্ষেপে সংঘাত কেন্দ্র–রাজ্য সম্পর্কে
এছাড়া আগামী দিনের পথের দিশাও দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর লেখায় উঠে এসেছে, ‘আগামী পথটি বাধাহীন নয়, তবে একসঙ্গে, আমরা একটি ভারত গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করতে পারি। যা সত্যিই আমাদের সংবিধান প্রদত্ত স্বপ্নগুলির প্রতিফলন। ৭৬তম সাধারতন্ত্র দিবস শুধুমাত্র একটি উদযাপন নয়। এটা একটা দায়িত্বের আহ্বান। আজ আমরা এমন একটি সাধারণতন্ত্র গড়ার প্রতিশ্রুতি নিই যা শুধু শক্তিশালীই নয়, বরং সহানুভূতিশীল, শুধু সমৃদ্ধই নয় বরং অন্তর্ভুক্তিমূলক।’