এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে আইনি নোটিশ পাঠালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মহালয়ার সকালে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন অভিষেক। অভিযোগ, ভিডিও–তে অভিষেকের করা কিছু মন্তব্য বিকৃত করে টুইটারে পোস্ট করেন বাবুল। ওই পোস্টে বলা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘অমানবিক’ বলেছেন অভিষেক। বাবুল সেই পোস্টে দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই ভিডিও–তে ‘মুখ ফসকে সত্যি কথাটা বেরিয়ে গেছে’। এর পরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শনিবার বাবুল সুপ্রিয় ও টুইটার কর্তৃপক্ষের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন অভিষেকের আইনজীবী। তাতে বাবুলকে ওই টুইট মুছে দিতে এবং একইসঙ্গে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
মহালয়ার দিন ওই ভিডিও–তে ঠিক কী বলেছিলেন অভিষেক? তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অমানবিক এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলার নিজস্ব মস্তিস্কপ্রসূত কর্মকাণ্ডে রাজ্যের উন্নয়নে গতি এসেছে।’ এই পুরো কথাটা থেকে ‘অমানবিক’ এবং ‘মুখ্যমন্ত্রী’ কথা দুটো পাশাপাশি বসিয়ে টুইটারে পোস্ট করে ট্রোল করতে শুরু করেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তিনি টুইটে লেখেন, ‘আমি একটুও আশ্চর্য নই যে এটা পোস্ট করা ভিডিওতে রয়ে গেছে। কারণ যারা এটা শুট করেছে তারাও ‘অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী’ দিদির অমানবিক তৃণমূলী দুষ্কর্মে এতটাই লিপ্ত যে ভুল করে ‘বেরিয়ে’ যাওয়া এই সত্যটি ওরা ধরতেই পারেনি।’
এর পর তৃণমূল সমর্থক ও নেটিজেনরা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলে তিনি অভিধান ঘেটে ‘অমানবিক’ শব্দের মানেও বুঝিয়ে দেন। ফের টুইটে বাবুল লেখেন, ‘যে সমস্ত তৃণমূলী পন্ডিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভিডিওটি নিয়ে আমার পোস্টটি নিয়ে এখানে বাংলা ভাষা নিয়ে ‘চর্চা’ করছেন, তাদের অত্যন্ত বিনম্রতার সাথে বলি যে ‘অমানবিক পরিশ্রম’ আর ‘অমানুষিক বা অতিমানুষিক পরিশ্রম’ দুটো সম্পূর্ণ আলাদা।’
এর পরই ক্ষুব্ধ অভিষেক বাবুলের বিরুদ্ধে মানহানিকর কথাবার্তা বলার অভিযোগ এনে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপেরও কটাক্ষ করে ফের টুইট করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি সেই টুইটে অভিষেকের নাম না করে লিখেছেন, ‘বাংলায় একজন বড় বাচ্চা রয়েছে যে আমাকে আইনি ভাষায় লেখা প্রেমপত্র পাঠায়। আমি নিশ্চিত যে এটি অজ্ঞতা এবং অহংকারের কারণে করা হয়েছে। কারও নাম করিনি কিন্তু ‘ঠাকুরঘরে কে? আমি তো কলা খাইনি’। প্রতিক্রিয়া কিন্তু আসবেই।’