আবার সক্রিয় হয়ে উঠলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার নিজের জন্মদিনে অনুরাগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। কেক কাটার পর কালীঘাটের দলীয় কার্যালয়ে যান। আর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কাজ তিনি সেরে ফেলেছেন বলেও জানান। সেই কাজের মধ্যে রয়েছে জেলা সংগঠনে রদবদল। আজ অভিষেক জানান, বিদেশ যাওয়ার আগে তিনি রদবদলের খসড়া করে দলনেত্রীর হাতে দিয়ে গিয়েছেন। বদল এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আজ ৩৮ বছর বয়সে পা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে চোখের অস্ত্রোপচার করে কদিন আগেই ফিরেছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তারপর এই প্রথমবার সাধারণ কর্মী–সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করলেন অভিষেক। আর সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন। সেখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দলে বড় সাংগঠনিক রদবদল হচ্ছে। আর আনুগত্য নয়, পারফরম্যান্সই শেষ কথা।’ গত ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে মঞ্চ থেকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের ফল খারাপ যেখানে হয়েছে, সেখানে নেতৃত্ব বদল করা হবে। তারপর আজকের মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: রাস্তায় পথ কুকুরদের মারধর করার প্রতিবাদ মহিলার, বনগাঁয় মিলল পাল্টা শ্লীলতাহানি
অন্যদিকে পুরসভা এবং জেলা সংগঠনে বদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অভিষেক। ১২৫টি পুরসভায় রদবদল হতে পারে। যে সব মিউনিসিপ্যালিটি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের খারাপ ফল হয়েছে, সেখানেই বদল ঘটবে। কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান যাঁরা আছেন তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। সেক্ষেত্রে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলই হবে মাপকাঠি বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে অভিষেকের বক্তব্য, ‘আমার কাজ আমি করে দিয়েছি। চোখে অস্ত্রোপচারের আগেই কোথায় কাকে বদল করতে হবে সে ব্যাপারে নেত্রীকে রিপোর্ট দিয়েছি। হতে পারে উপনির্বাচনের কারণে তিনি এখনও সিদ্ধান্ত নেননি।’
এছাড়া লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসনের মধ্যে ২৯টি আসন জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ২০২৬ সালে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে হয়ে যাবে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তাই আরও কড়া পথে হাঁটতে চলেছেন অভিষেক। তাই তাঁর কথায়, ‘জেলা সভাপতি পদেও বদল হবে কাজের নিরিখে। আনুগত্য কোনও বিষয় নয়। আসল কথা হল পারফরমেন্স। কে কেমন কাজ করছে সেটা কতটা কার্যকরি সেটা দেখেই বিচার হবে।’ তৃণমূল কংগ্রেসের মোট ৩৫টি সাংগঠনিক জেলা আছে। তার মধ্যে ১২টিতে সভাপতি বদল করা হবে বলে সূত্রের খবর।