‘ছুটি’ শেষ। এবার বিদেশ থেকে ফিরে এলেন বাংলায়। তারপর চলে গেলেন নিজের বাসভবনে। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের পর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছিলেন ছুটির কথা। তাই তাঁকে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। আজ, শুক্রবার কলকাতায় ফিরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেরতে দেখা গেল তাঁকে। ইমিগ্রেশন দফতর সূত্রের খবর, নরওয়ে থেকে অভিষেক দুবাই ফেরেন। তারপর দুবাই থেকে চার্টার্ড বিমানে চেপে কলকাতায় ফেরেন তিনি। একুশে জুলাইয়ের ঠিক আগে কলকাতায় ফিরলেন অভিষেক।
এই বিদেশ থেকে ফিরে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে থাকবেন তিনি বলে খবর। সেখান থেকে দেবেন বার্তা। গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল, এবারের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে অভিষেক অনুপস্থিত থাকবেন। সেটায় আপাতত জল পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। বিমানবন্দরের গেট থেকে বেরিয়ে সোজা গাড়িতে উঠে যান অভিষেক। সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও কথা না বললেও মুচকি হেসে হাত নাড়েন। গাড়ির সঙ্গে কোনও কনভয়ও দেখা যায়নি এদিন। তাঁর সঙ্গে আর কেউ ছিলও না। লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর ১২ জুন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে রাজনীতি থেকে সাময়িক বিরতি নেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: তারকেশ্বরে শুরু হয়েছে শ্রাবণী মেলা, একগুচ্ছ বিশেষ ট্রেন পূর্ব রেলের, জানুন সময়সূচি
তবে ২৫ জুন সংসদে শপথগ্রহণ করেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তার পরই তিনি বিদেশে যান। চোখের চিকিৎসার জন্য অভিষেক যান আমেরিকায়। আর তার আগে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে একটি ছোট অস্ত্রোপচার হয় অভিষেকের। শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শহরে ফিরে আসায় গোটা তৃণমূল কংগ্রেস আশা করছে,দলের ক্যাপ্টেন রবিবারের সভায় থেকে বক্তব্যও রাখবেন। এক হ্যান্ডেলের পোস্টে অভিষেক জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য সংগঠনের কাজ থেকে ‘ছোট বিরতি’ নিচ্ছেন। আর এই বিরতিতে থাকার সময়ে তিনি সবটাই একটু দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করবেন।
জুন মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে লেখেন, ‘চিকিৎসার জন্য আমি সংগঠন থেকে সাময়িক বিরতি নিচ্ছি। এই সময় সাধারণ মানুষের চাহিদা আরও ভালোভাবে অনুধাবনের সুযোগ আমি পাব। আমি বিশ্বাস করি, রাজ্য সরকার দ্রুত এবং ভালভাবে মানুষের সমস্যার সমাধান করবে এবং মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায় তা নিশ্চিত করবে।’ অভিষেকের এই পোস্টের পর গত দেড় মাস ধরে নানা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। সরকারি কাজে গতি আনা, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে যাতে রাজ্য সরকার আবাস যোজনার কাজ সম্পূর্ণ করে নিশ্চিত করা। পুরসভার কাজ নিয়েও চেয়ারম্যান, পুরপ্রতিনিধিদের মুখ্যমন্ত্রী ‘ধমক’ দেন। এমনকী ফুটপাথের বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ নিয়ে পদক্ষেপ করেছে নবান্ন।