পেট্রল–ডিজেল–রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় এখন গৃহস্থের হেঁশেলে উত্তাপ চরমে উঠেছে। গোটা দেশে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বাংলা থেকে সরাসরি বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে সংসদের অভ্যন্তরে মানুষের জন্য আওয়াজ তুলতে। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার কোনও সুযোগই দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাই এই সরকারকে টুইট করে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
ঠিক কী লিখেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ? আজ, বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ডেরেক লেখেন, ‘সংসদ অধিবেশন শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই দাম্ভিক সরকার এক মিনিট সময় দেয়নি পেট্রপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করার।’ এখন প্রশ্ন উঠছে সংসদে যদি মানুষের কথা বলা না যায়, সমস্যার কথা তোলা না যায় তাহলে অধিবেশন বসিয়ে লাভ কী?
উল্লেখ্য, গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ক্রমাগত বাড়ছে পেট্রল–ডিজেলের দাম৷ ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও ঊর্ধ্বমুখী৷ পেট্রল এখন ১১৫ টাকা লিটার ছাড়িয়েছে। আর ডিজেল সেঞ্চুরির পথে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী৷ দ্রব্যমূল্যর আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এবার নবান্নে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনাই করতে দিচ্ছে না।
গোটা বিষয়টি নিয়ে টুইটে কড়া ভাষায় ডেরেক ও’ব্রায়েন লিখেছেন, ‘এই মহান প্রতিষ্ঠানে প্রথম দিন পা রেখে মাটিতে চুম্বন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখন তিনি এবং তাঁর সরকার চরমভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে গণতন্ত্রকে খুন করেছেন।’ মানুষের কথা সংসদে তুলে ধরাই গণতন্ত্র। আর তা তুলতে না দেওয়াই গণতন্ত্রের হত্যা। এটাই বোঝাতে চেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বলে মনে করা হচ্ছে।