এবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে কড়া চিঠি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। এমনকী সেখানে অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে খবর। এই চিঠি নিয়ে এখন জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ ২০২২ সালে যখন যুদ্ধ শুরু হয় ইউক্রেন–রাশিয়ার মধ্যে তখন পুতিনের দেশের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের থেকে অপরিশোধিত তেল কিনেছিল ভারত। এই তথ্য সবারই জানা। আর রাশিয়া থেকে সেই তেল আমদানি করে লাভবান হয়েছে এই দেশের দু’টি বড় বাণিজ্যিক সংস্থা। যা গুজরাটে অবস্থিত। এই অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। আর তার প্রেক্ষিতে চিঠি।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ চিঠি দিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন, এখানে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি করা হয়েছে। আর তাতে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত থাকতে পারে। গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠিও লিখেছেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যখন বারবার বাংলার সরকারকে নানাভাবে অপদস্থ করতে চাইছে দুর্নীতি ইস্যুতে তখন পাল্টা এমন চিঠি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এই চিঠিতে ওই দুই সংস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল? ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধের সময় রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কিনেছিল ভারত। আর সেই তেল চড়া দামে দেশের বাজারে বিক্রি করে মুনাফা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কম তখন দেশের মানুষকে বেশি দামে তেল কিনতে হয়েছে বলে অভিযোগ। আন্তর্জাতিক মহলে এই নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকে। তখন কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, ভারত নিজেদের স্বার্থের কথাই ভাববে। কিন্তু পাল্টা জহর সরকার দাবি করেছেন, এই তেল কেনার সিদ্ধান্তের নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘনিষ্ঠ কর্পোরেট সংস্থার স্বার্থ। বিদেশমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে এই কথাই লিখেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ।
ঠিক কী লিখেছেন জহর? গোটা বিষয়টিই চিঠিতে তথ্যপ্রমাণ–সহ তুলে ধরা হয়েছে। আর চিঠিতে তিনি বিদেশমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘এই সিদ্ধান্তে দেশের সাধারণ মানুষ যাঁরা পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থ ব্যবহার করেন, তাঁদের কোনও সুবিধা হয়নি। উলটে গুজরাটের দুই বড় রিফাইনারি সংস্থা এতে বিপুল লাভের মুখ দেখেছে। এতে দেশের কি আদৌ কোনও লাভ হয়েছে? রাশিয়ার তেল বহনের জন্য হঠাৎই মুম্বইয়ের একটি সংস্থা ৫৪টি ট্যাঙ্কার কীভাবে কিনে ফেলল?’ এই নিয়ে এস জয়শঙ্কররের কাছে উত্তর চেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।