এবার সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারকে গোয়া পাঠাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে গোয়া যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার গোয়ায় তাঁর ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য গোয়ায় সংগঠন বিস্তার করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সেখানে মহুয়া মৈত্রকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছিল। তবে নির্বাচনে তেমন সাফল্য আসেনি।
কেন হঠাৎ গোয়া পাঠানো হচ্ছে? সূত্রের খবর, সেখানে সংগঠন কতটা মজবুত হয়েছে তা দেখতেই তাঁকে পাঠানো হচ্ছে। তাছাড়া গোয়ার সংগঠনে কোথায় ফাঁক রয়েছে সেটা দেখে তিনি রিপোর্ট দেবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ঘুঁটি সাজাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কাকলি ঘোষদস্তিদার একাধারে সাংসদ এবং পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। তাঁর অভিজ্ঞতা সেখানে কাজে লাগিয়ে ঘাসফুল ফোটানোই মূল লক্ষ্য। তাই তাঁকে সেখানে পাঠানো হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার সরকার গড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করে মানুষ। তারপর থেকে বাংলা ছাড়িয়ে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও পা রাখতে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয় এবং গোয়ায় সংগঠন শক্তিশালী করতে বিশেষ নজর দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। ওই রাজ্যগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি গড়া হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নানা ইস্যুতে লাগাতার চলছে মিটিং–মিছিল করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কী কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের? আজ, বৃহস্পতিবার গোয়া যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। সেখানে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। গোয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা শুনবেন। মুখোমুখি হবেন সংবাদমাধ্যমের। দু’দিনের এই কর্মসূচি ও সফর নিয়ে অভিষেকের সঙ্গে কথা হয়েছে বারাসতের সাংসদের। তিনি জানান, বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আস্থা রাখেন, এটা প্রমাণিত সত্য। বিজেপিকে হারাতে পারে শুধু তৃণমূল কংগ্রেসই, সেটাও মানুষ বুঝেছেন। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। তাই গোয়া–সহ নানা রাজ্যে সংগঠন বিস্তারে জোর দিয়েছি আমরা। গোয়ায় কংগ্রেস ব্যর্থ। তারা বিজেপিকে হারাতে পারছে না। কিছু কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতেও চলে যাচ্ছেন।