রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত সপ্তকে পৌঁছল। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় মামলা করার দাবি তুললেন দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্নীতি ও প্রতারণার অভিযোগে গোবিন্দ আগওয়াল ও সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলে টুইট করায় তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের মামলা করা উচিত বলে এদিন মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার কল্যাণবাবু বলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা ED-র কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করে গোবিন্দ আরগওয়ালের কাছ থেকে প্রায় ৩.৮৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশ। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপের ধারায় মামলাও রয়েছে।
ওদিকে সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে রোজভ্যালির এক কর্মীর কাছ থেকে ২ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মানব ও গরুপাচারে যুক্ত তিনি। ইডি তার বিরুদ্ধে ভুয়ো নথি তৈরির অভিযোগ দায়ের করেছিল বিধাননগর থানায়। এহেন ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশকে ভয় দেখাচ্ছেন রাজ্যপাল।
কল্যাণ বলেন, ‘টুইটের মাধ্যমে তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা, মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, তদন্ত বন্ধ করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল কেন এই ২ মূল অভিযুক্তকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন? কেন কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর পুলিশকে বাধা দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন?
এর পরই এক বিস্ফোরক দাবি করেন কল্যাণ। বলেন, ‘বিজেপির দুষ্কৃতী ও পশ্চিমবঙ্গের দুষ্কৃতীদের সঙ্গে রাজ্যপালের যোগাযোগ রয়েছে’।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘যে কোনও ব্যক্তি ফৌজদারি মামলার তদন্তে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাধা দেন বা প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন ১৮৬, ১৮৯ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যায়। রাজ্যপাল টুইট করে সেই বাধা তৈরি করছেন’।
এর পরই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় মামলা দায়েরের দাবি তোলেন তিনি। বলেন, ‘রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইট করে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের ভয় দেখাচ্ছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধেও ১৮৯ ধারায় মামলা করা যায়। কোনও সরকারি কর্মী যদি পদে বসে তাঁর ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব ভিন্ন অন্য কোনও বেআইনি কাজ করেন, তার জেরে মামলা করতে ১৯৭ ধারা অনুসারে কোনও অনুমতি নেওয়ার দরকার হয় না। আমি কলকাতা পুলিশকে অনুরোধ করব জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে ১৮৬ ও ১৮৯ ধারায় ফৌজদারি মামলা শুরু করা উচিত’।
এব্যাপারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এখনো কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।