রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরা যখন সময়ের অপেক্ষা তখনই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন শাসকদলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে কুণাল ঘোষের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকে কটাক্ষ করলেন তিনি।
বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হওয়ার পর ডোমজুড়ে রাজীবকে হারানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন কল্যাণ। প্রায় ৪৫ হাজার ভোটে সেখানে পরাজিত হয়েছেন রাজীব। ভোটপ্রচারে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণ হয়। ভোট মেটার মাস গড়াতে না গড়াতে সেই রাজীবের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনায় ক্ষোভ গোপন করেননি কল্যাণ।
তিনি বলেন, ‘অনেক খেটে ডোমজুড়ে ওকে ৪৩ হাজার ভোটে হারিয়েছি আমরা। সাধারণ কর্মী হিসাবে লড়াই করে প্রমাণ করে দিয়েছি রাজীব কেউ না।’ বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার যে অভিযোগ তুলেছেন রাজীব, তাকেও কটাক্ষ করেছেন কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘ভোটের পাঁচ দিন আগে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের দিয়ে মিছিল করিয়ে বাঁকড়ায় দাঙ্গা লাগাতে চেয়েছিল। পুলিশ সেই মিছিল আটকায়। তখন ওর সাম্প্রদায়িকতার কথা মনে ছিল না?’
রাজীবের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা শুরু হতেই প্রায় রোজই বিরোধিতায় পোস্টার পড়ছে ডোমজুড়ে। তৃণমূল কর্মীদের সেই বিক্ষোভকে সমর্থন করে কল্যাণ বলেন, ‘কুণালের সঙ্গে দেখা করেছে বলে কি ও গঙ্গাজলে শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে? কর্মীদের ক্ষোভ তো থাকবেই। রাজীব কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তাদের মার খাইয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও কথা বলেছে।’
বলে রাখি, শনিবার বিকেলে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে বিপুল পরজায় হয় তাঁর। এর পর বিজেপিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন রাজীব। শনিবার কুণালের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের পর অনেকের দাবি, রাজীবের তৃণমূলে ফেরা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।