এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে সরাসরি খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এক্স হ্যান্ডেলে আজ, মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরের সাংসদ খোঁচা দেন। আর তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। এখন সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের ২৯ জন সাংসদ নানা প্রশ্ন তুলবেন। তাঁদের মধ্যেই একজন মহুয়া মৈত্র। তাই তাঁকে আগামী সপ্তাহে সিবিআই তলব করতে পারে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে যে মামলা সেটা ভুয়ো বলেও দাবি করেছেন মহুয়া।
এই এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট প্রকাশ্যে আসায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে আটকাতে চায়। তাই সিবিআই লেলিয়ে দেওয়া হবে বলে মনে করেন মহুয়া। এর আগে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ পর্যন্ত করা হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এমন এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট বলে মনে করা হচ্ছে। মহুয়া মৈত্র এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘সিবিআই খুব নিখুঁতভাবে দেখছে, আমার হার্মিস স্কার্ফ এবং ববি ব্রাউন মেকআপের জন্য।’ আসলে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে যে মামলা আছে সেটি শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং তাঁর আইনজীবীদের ষড়যন্ত্র বলে তিনি মনে করেন। তাই এই পোস্ট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ।
এখন জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে আদানি ইস্যু তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। এবার সেটা সাংসদে শীতকালীন অধিবেশনে ঝড় তুলে দেবে। তার আগে সিবিআই এবং আদানি গোষ্ঠীকে এভাবেই খোঁচা দিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘তারা আগামী সপ্তাহে আমাকে ডেকে পাঠাবে, আমি বিশ্বাস করি। তাই এটার জন্য উন্মুখ! গৌতম আদানি এবং তার আইনজীবীরা কীভাবে এই ভুয়ো মামলা তৈরি করেছেন তার প্রত্যেকটি বিশদ বিবরণ আমি তাদের বলব। মুখরোচক!’ সিবিআই এই ভুয়ো মামলায় আগামী সপ্তাহে ডাকবে মহুয়াকে বলে আগাম খোঁচা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ৯ পুলিশকর্মী সাসপেন্ড, কোপ সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপরও, কী ঘটল?
এছাড়া একবছর আগে আদানি গোষ্ঠী নিয়ে যে পোস্ট তিনি করেছিলেন সেটি রিপোস্ট করেন মহুয়া মৈত্র। যেখানে তাঁর সম্পর্কে মিথ্যে কথা বলা হয়েছিল বলে মহুয়ার দাবি। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তাতে সাংসদ পদ খারিজ পর্যন্ত করা হয়। আর আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংসদে প্রশ্ন করার পিছনে দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হিরানন্দানি হার্মিস স্কার্ফ আর ববি ব্রাউন মেকআপ কিট উপহার দিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্রকে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল।