কেন্দ্রের অসহযোগিতা সত্বেও করোনাকে রুখতে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উচিত বাংলায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এসে পরামর্শ নিয়ে যাওয়া। সম্প্রতি এই ভাষাতেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে খোঁচা দিলেন রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রের কোভিড নীতিও কড়া ভাষায় সমালোচনা করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
রাজ্যসভার সাংসদ এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে বলেন, ‘একদিনের জন্য বাংলায় আসুন না। বাংলায় সংক্রমণের হার এক মাসে ৩৩ শতাংশ থেকে ১.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। কীভাবে হল, তা শিখতে ক্ষতি কী? একজন ভদ্রমহিলা যদি আপনাদের থেকে বেশি জানেন, তাহলে তাঁর কাছ থেকে শিখতে ক্ষতি কী?’
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনের শেষ পর্বে বাংলায় সংক্রমণের হার অত্যাধিক বেড়ে গিয়েছিল। রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে সংক্রমণ বাড়ার পিছনে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর এই বক্তব্যের রেশ ধরেই কটাক্ষের সুর শোনা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের গলাতেও। কংগ্রেস নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রী সবাইকে থালা বাজাতে বলেছিলেন। মোমবাতি জ্বালাতে বলেছিলেন। মানুষ তাঁকে বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি। সবাইকে মাস্ক পরতে বলে নির্বাচনের সময়ে বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে নিয়ম ভেঙেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও তৃণমূল ও কংগ্রেসের এই কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি জানান, ‘স্বাস্থ্য যেহেতু যৌথ তালিকার মধ্যে পড়ে, তাই রাজ্যেরও দায়িত্ব করোনা মোকাবিলা করা।’
একইসঙ্গে রাজ্যকে চাহিদা মতো টিকার জোগান দিতে কেন্দ্র ব্যর্থ বলে সরব হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদরা। গত কয়েক সপ্তাহে পর্যাপ্ত টিকা পাঠানো হচ্ছে না বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন সাংসদরা। কয়েকদিনের মধ্যেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাওয়ার কথা। দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেও টিকার অভাব নিয়ে সরব হতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।