বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রায়ই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে থাকেন। সদ্য ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে শাসক–বিরোধী তরজা তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা জড়িত। আর তৃণমূল কংগ্রেস আজ সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনার সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং বিজেপি নেতারা জড়িত বলে নথি তুলে ধরেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আজ সৌগত রায় বিধাননগর পৌরনিগমের উদ্যোগে একটি রক্তদান শিবিরে আসেন। সেখানে তাঁকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। যার জবাবও দিয়েছেন তিনি সপাটে।
তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, দিলীপ ঘোষ বলেছেন, যে নেতাদের কাটমানির সম্পর্ক আছে তাদের বাড়িতে ইডি দিয়ে ছাপ্পা মারানো উচিত। আপনি কি বলবেন?
সৌগত রায় বলেন, ‘এরকম তো ইডি সিবিআই দিয়ে ভয় অনেক দিলীপ ঘোষ দেখিয়েছেন। কিছু হয়নি। হেরে যাওয়ার পর এদের লজ্জা হয় না। এখনও উনি বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। দেবাঞ্জন দেবের ঘটনা দুঃখজনক এই নিয়ে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছেন এবং দিলীপ ঘোষকে মাথা ঘামাতে হবে না।’
রাজ্য বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্রডরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপনি এই বিষয়ে কি বলবেন?
এই বিষয়ে দমদমের সাংসদ বলেন, ‘এসব তো হেরে যাওয়ার পর সবাই বলে থাকে। ওঁর বলায় কি গুরুত্ব আছে। সুতরাং এসব বাজে কথা অবাস্তব অবান্তর কথা শুনে লাভ নেই।’
রাজ্য সরকার যে সমস্ত দুর্নীতি করে বেড়াচ্ছে বিরোধীরা সেটা বলতে গেলে মারা হচ্ছে। রাজ্যপাল বলতে গেলে তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি। আপনার প্রতিক্রিয়া?
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘রাজ্যপাল যদি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয় সেটা আমরা বলবো। আর মারধর করায় আমরা বিশ্বাস করি না। গণতান্ত্রিকভাবে আমাদের বিরোধিতা করলে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই।’
তৃণমূল কংগ্রেস কোনও সত্যি কথা বলে না— এই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। আপনি কী বলেন? উত্তরে দমদমের সাংসদ বলেন, ‘এসব বাজে কথা বলে লাভ নেই। দিলীপ ঘোষের কথা কেউ বিশ্বাস করে না।’
প্রত্যেকদিন রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন দিলীপ ঘোষ। আপনি কি বলবেন? উত্তরে প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘হেরে গিয়েছে। পদত্যাগ করা উচিত ছিল পদত্যাগ করেনি। এখনও ক্ষমতা আঁকড়ে রয়েছে। ওই সকালবেলা হাঁটে আর বক্তব্য রাখে। ওদের আর কোনও গুরুত্ব নেই। হেরে যাওয়া পার্টির বক্তব্যের কোনও গুরুত্ব নেই।’