আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুনের পর থেকে ৪০ দিন ধরে আন্দোলন করে চলেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই আন্দোলনেই চরম অস্বস্তিতে সরকার এবং শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই অস্বস্তি বাড়িয়ে এবার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের খলিস্তানি জঙ্গি ভিন্দ্রানওয়ালের সঙ্গে তুলনা করে বসলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। গতকাল এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জুনিয়র চিকিৎসকদ নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সৌগত। তাদের আন্দোলনকেও কটাক্ষ করেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। উল্লেখ্য, আরজি করে খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের বাড়ি তাঁরই নির্বাচনী এলাকায় পড়ে। (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে 'অন্য কারও নির্দেশ'? সন্দীপ ঘোষেরও 'মাথা' খুঁজছে সিবিআই?)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে তদন্ত নিয়ে CJI-এর বড় নির্দেশ, তারপরই নির্যাতিতার বাড়িতে CBI
গতকাল সৌগত রায় বলেছেন, 'এটা চিকিৎসকদের জয় বলে মনে করি না।' তাঁর কথায়, 'সারা রাত মোমবাতি নিয়ে বসে থাকলে সরকার বদলানো যায় নাকি?' এদিকে আন্দোলনের চাপে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ কমিশনার সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বদলির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নিয়ে সৌগত রায়ের কটাক্ষ, 'ট্রান্সফার নিয়ে নাকি ডিস্কো নাচছিল কি না জানি না। তিন-চারজন অফিসার ট্রান্সফার হয়েছে, তাঁরা তো পারমানেন্ট। এক জায়গায় না হলে অন্য জায়গায় চাকরি করবেন।' এদিকে চিকিৎসকদের তোপ দেগে সৌগত বলেন, 'আন্দোলনকারীরা নিজেদের কী ভাবছেন... ভিন্দ্রানওয়ালে? নিজেদের বড় বিপ্লবী মনে করছেন তাঁরা?' তাঁদের 'নাবালক' বলে কটাক্ষ করেন সৌগত রায়। (আরও পড়ুন: মুখোমুখি জেরায় আদৌ কোনও ফল মিলছে? আর কতদিন CBI হেফাজতে অভিজিৎ-সন্দীপ?)
আরও পড়ুন: থ্রেট কালচারে অভিযুক্তদের পক্ষে সওয়াল কুণালের! আরজি কর নিয়ে বললেন মরাত্মক কথা
সৌগত রায় বলেন, 'সুপ্রিমকোর্টের পর্যবেক্ষণ সত্ত্বেও ওরা কাজে যোগ দেয়নি। উল্টে ডিস্কো বাজিয়ে নাচছিল। তিন চারজন অফিসারের ট্রান্সফার হয়েছে তো কী হয়েছে। তারা তো অন্য কোথাও চাকরি করবে। এই যে দেখানো হচ্ছে অভূর্তপূর্ব জনজাগরণ এগুলো ভিত্তিহীন। এটা জুনিয়র চিকিৎসকদের জয় বলে মনে করি না। ওরা যে ভাবে একের পর এক বৈঠক ভেস্তে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করেছেন, তাতে তৃণমূল কর্মী হিসেবে গায়ে জ্বালা ধরেছে। তবে সেই তো মমতার হস্তক্ষেপেই সমাধান করতে হল। গা জ্বললেও আমরা এতদিন কিন্তু কোনও মন্তব্য করিনি। দল থেকে নির্দেশ ছিল। তবে আন্দোনকারীদের বলব, অনেক আন্দোলন হয়েছে, এবার ওরা কাজে ফিরুক, বাস্তবের মুখোমুখি হোক।' জুনিয়র চিকিৎসকদের তোপ দেগে তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'ডাফরি বাজিয়ে ডিক্সো ডান্স করছে। ওদের দিন তো প্রায় ফুরিয়েই এল। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হবে চান্স পাওয়ার জন্য। আর না হলে নিজের পাড়ায় একটা চেম্বার করে বসতে হবে।'