নতুন বছরের ২ জানুয়ারি ঘোষণা হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি। এখন জেলায় জেলায় এই কর্মসূচি নিয়ে প্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ থেকে নেতা–কর্মীদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় নেমে পড়বেন ‘দিদির দূত’–রা। কিন্তু কর্মসূচির ঘোষণার পরই ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে তাঁরা আশঙ্কা করছেন, বিজেপির পক্ষ থেকে প্রত্যাঘাত আসতে পারে।
ঠিক কী বলছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ? দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের দলের এই কর্মসূচি ঘোষণার পর বিজেপি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় নেতারাও ভয় পেয়েছেন। কারণ জনসংযোগের ক্ষেত্রে এমন কর্মসূচি আর কোনও রাজনৈতিক দল করতে পারেনি। তাই বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা আঘাত আসার আশঙ্কা থাকছে। তবে ধাক্কা এলেও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা একজোট হয়ে কর্মসূচি সফল করতে এগিয়ে যাবেন।’
আর কী জানা যাচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ১৫টি জনমুখী প্রকল্পকে এবার মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিতে এই কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় জনসংযোগের ক্ষেত্রে এমন কর্মসূচি কোনও রাজনৈতিক দল আগে করে দেখাতে পারেনি। এমনকী রাজনৈতিক কর্মসূচির ইতিহাসে নেই। ফলে বাংলার সব মানুষের জন্য উন্নয়নের এই চিন্তাধারাকে সামনে রেখেই আমরা এগিয়ে যাব। সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে শুনব তাঁদের কথা।’
ঠিক কী করতে চাইছেন দিদির দূতরা? এই কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ মানুষের দুয়ারে গিয়ে বিজেপির মিথ্যাচারের ফানুস ফাটিয়ে দিতে চান তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। বিজেপির ফেক ভিডিয়ো এবং আবাস যোজনা নিয়ে বাংলাকে অপমান করার কাহিনী সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাকে অবরোধ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সেকথাও তুলে ধরা হবে।