কয়েকদিন আগেই কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দেশের বিরোধী মুখ। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে এখনও হাত মেলাতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেস এগোতে পারছে না বলেই অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের। বারবার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলায় কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। এই কংগ্রেসের হাত ধরা মানে আত্মহত্যার সমান বলে মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, একদিকে বিজেপিকে হারিয়ে চলেছে তৃণমূল, অন্যদিকে বিজেপির কাছে হেরে চলেছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের হাত ধরার অর্থ আত্মহত্যারই সামিল বলে মনে করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। এই মন্তব্য নিয়ে ঝড় বইতে শুরু করেছে জাতীয় রাজনীতিতে। বরং কংগ্রেস আত্মসমালোচনা করুক বলে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ? গোটা বিষয়টি নিয়ে সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘আত্মসমালোচনা করে সংশোধনের পথে হাঁটার মানসিকতাটুকুও কংগ্রেসের নেই। ওই দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আত্মহত্যা করতে যাব কেন আমরা? কংগ্রেস যদি রাজনৈতিকভাবে বাঁচতে চায়, তাহলে আত্মসমীক্ষা করুক। ধারাবাহিক বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করুক ওরা। জানুক, অন্যান্য দলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। সেটা না করলে কংগ্রেসের স্বাভাবিক মৃত্যু রোধ করবে কে? ন্যাচারাল ডেথ হবে! পৃথিবীতে অনেক পার্টি উঠে গিয়েছে, কংগ্রেসও উঠে যাবে।’
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য শুনে ফুঁসে উঠেছে কংগ্রেসও। এই বিষয়ে কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য পাল্টা বলেন, ‘তৃণমূল আত্মসমালোচনা করুক গোয়া, ত্রিপুরায় তারা কী করেছে। আর দিল্লিতে স্ট্যালিনের অনুষ্ঠানে কেন হাজির হলেন না তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা?’ এই ঘটনার পর আবার সামনে চলে এল কংগ্রেস–তৃণমূলের আকচা আকচি। সুতরাং এই দুই দল আর কাছাকাছি আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই।