বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Jawhar Sircar: TMC-তেই আছেন! 'অমিত শাহ সবথেকে বড় পাপ্পু' টি-শার্ট পরে ঘোষণা জহর সরকারের

Jawhar Sircar: TMC-তেই আছেন! 'অমিত শাহ সবথেকে বড় পাপ্পু' টি-শার্ট পরে ঘোষণা জহর সরকারের

এই ছবি পোস্ট করেছেন জহর সরকার। (ছবি সৌজন্যে, টুইটার @jawharsircar)

যাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য প্রবেশ করিয়ে নেওয়া হয়। এমনকী সম্মানজনক বিচ্ছেদ করার পথও তাঁকে দেখানো হয়। তবে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাচ্ছেন না। আজ, রবিবার টুইট করে সেই বার্তাই দিয়েছেন প্রসারভারতীর প্রাক্তন সিইও।

রাজ্য–রাজনীতিতে তাঁর একটি মন্তব্য ঝড় তুলে দিয়েছিল। সদ্য তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছেন। এমনকী রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন। মোদী–শাহের বিরোধী বলেই পরিচিত এই আমলা। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া গিয়েছে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে। তা নিয়েই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি জহর সরকার। যাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য প্রবেশ করিয়ে নেওয়া হয়। এমনকী সম্মানজনক বিচ্ছেদ করার পথও তাঁকে দেখানো হয়। তবে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাচ্ছেন না। আজ, রবিবার টুইট করে সেই বার্তাই দিয়েছেন প্রসারভারতীর প্রাক্তন সিইও।

ঠিক কী বলেছিলেন জহর সরকার?‌ জহরবাবু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনা যখন প্রথমে টিভিতে দেখলাম বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা–রসদ বেরোতে পারে আমার কাছে কল্পনাতীত। সে যে দলেরই হোক, এরকম দুর্নীতির দৃশ্য টিভিতে কম দেখা যায়। এই নিয়ে লোকে মন্তব্য করবেই। লোকের মুখ তো বন্ধ করা যায় না। টাকা উদ্ধারের ছবি টিভিতে দেখে বাড়ির লোকেরা বলল, তুমি ছেড়ে দাও। সাংসদ পদ তো বটেই, রাজনীতিও। বন্ধুরা টিপ্পনি কাটল। হোয়াটসঅ্যাপে কত রকম জোক পাঠাল। বলল, তুই এখনও আছিস? কত পেয়েছিস?’‌ উল্লেখ্য, দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভার আসনে ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে সাংসদ হন জহর সরকার।

আর এখন কী অবস্থান তাঁর?‌ এদিন তিনি একটি টুইট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি একটি গেঞ্জি পরে রয়েছেন বাড়িতে। যে গেঞ্জির পিছনে লেখা, ‘‌ভারতের সবচেয়ে বড় পাপ্পু’‌। সেখানে অমিত শাহের ছবি দেওয়া রযেছে। আর সেখানেই তিনি লিখেছেন, ‘‌বহুজনের কৌতূহল তৈরি হয়েছে কেন আমি বাড়িতে এটা পরে থাকি। কিন্তু আমি কখনও তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাচ্ছি না। এমনকী মোদী–শাহের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছি না। বাকি সব জল্পনা এবং অলস চর্চা।’‌

তাহলে কী সম্পর্ক মেরামত হয়ে গেল?‌ সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে জহর সরকারের কথা হয়েছে। সেখানে তিনি তাঁর মন্তব্যের জন্য অনুতপ্ত বলে জানিয়েছেন। এমনকী তিনি দল ছাড়তে চান না বলেই জানিয়েছেন। একইসঙ্গে দলের গাইডলাইন মেনে চলবেন বলেও কথা দিয়েছেন জহর সরকার। তাতে তাঁকে আরও একটা সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসের পাখির চোখ। সেখানে জহর সরকারের একটা বড় ভূমিকা থাকবে। তাই যে উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেটা আপাতত মিটিয়ে ফেলা হচ্ছে।

বন্ধ করুন