বাংলায় তৃণমূল আর বিজেপিকে একই আসনে বসিয়ে আক্রমণ করাটা মানুষ ঠিক ভাবে নেননি। এমনকী এবার ভোটের প্রচারে বিজেমূল স্লোগানকে ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। হারের কারণ কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র কার্যত এমন ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন। তবে তৃণমূল ও বিজেপিকে ফের কার্যত সেই একই সারিতে বসালেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তবে এখানে সামান্য একটু টেকনিকাল ফারাক তিনি টেনেছেন। ত্রিপুরার বিজেপির সঙ্গে তিনি বাংলার তৃণমূলকে একই আসনে বসিয়েছেন। প্রাক্তন উচ্চশিক্ষামন্ত্রী সুদর্শন রায়চৌধুরীর স্মরণে শ্রীরামপুর রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত সভায় তিনি জানিয়েছেন, 'বিজেপি সব জায়গায় গণতন্ত্র হত্যা করে। গণতন্ত্র কেড়ে নেয়। আমাদের রাজ্যে বামপন্থীদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে তৃণমূল। আর ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার। কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে এরা উভয়ই এক।' তবে প্রসঙ্গত বলা যায় সম্প্রতি ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর বিজেপির আক্রমণের ঘটনাকে নিন্দা করেছিলেন সেখানকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের মানিক সরকার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে আসলে কিছুতেই নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে পারছেন না বাম নেতৃত্ব। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে বার বার।
আর বিজেপি বিরোধী জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কচ্ছ থেকে কোহিমা বিশাল ভারতে বিজেপির বিরুদ্ধে যারা লড়াই করতে চায় তাদের জোট বেঁধে লড়াই করা উচিত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু গণতন্ত্র আক্রান্ত সেহেতু বিরোধীদের আলাদাভাবে কাজ করতে হবে।' কিন্তু বিজেপি বিরোধী লড়াইতে বিরোধীদের কাউকে বিরোধীদের মুখ করা যায় কি? এই প্রশ্নের উত্তরে বিমান বসুর দাবি, ’পথ চলতে গেলে পথ কেটে পথ তৈরি হয়। আগে থেকে কিছু বলা যায় না।' এখানেই প্রশ্ন উঠছে জাতীয় ক্ষেত্রে মমতার নেতৃত্ব কি মেনে নেবেন বাম নেতৃত্ব।