তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছেড়ে দিতে পারেন বলে যখন গুঞ্জন শুরু হয়েছে তখন তৃণমূল কংগ্রেসের নয়াদিল্লির সংসদীয় দলেও আড়াআড়ি বিভাজন দেখা যাচ্ছে। আইপ্যাক–কে নিয়ে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক–এর পক্ষে সৌগত রায়ের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি সৌগত রায়কে সভানেত্রীর নির্দেশ জানিয়ে দিয়েছেন। এমনকী ভবিষ্যতে যেন এই নিয়ে মুখ না খোলেন সৌগতবাবু তা নিয়েও তাঁকে বলা হয়েছে। এই বিষয়ে দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সৌগতবাবুর ৭৫ বছর বয়সে এসে এই বোধোদয় হল কেন? উনি ঠিক কী চাইছেন তা স্পষ্ট করুন।’ আর সৌগতবাবুকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে যা বলার আমি বলেছি। নতুন কিছু বলতে চাই না।’
এদিকে আজ, শনিবার দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শীর্ষ নেতাদের কালীঘাটের বাসভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন। সেখানে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হবে। এখন কোন পথে চলা হবে? এই উদ্ভূত পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করা হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। সেভাবেই চলতে হবে। এই বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থাকছেন বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে এই পরিস্থিতি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, দলে নবীন এবং প্রবীণের সংমিশ্রণ। তিনি মাঝখানে জেলাসফর, প্রশাসনিক বৈঠক, নবান্নের কাজের গতি এবং রুটিনমাফিক দলীয় কর্মসূচির মধ্যে আবদ্ধ ছিলেন। কিন্তু অত্যন্ত সঠিক সময়ে দলের হাল এমনভাবে ধরলেন, যাতে তৃণমূল কংগ্রেস ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে। তিনি যে দল ১৯৯৮ সালে তৈরি করেছিলেন, তার ধারেকাছে দেশের কোনও আঞ্চলিক দল নেই। ৩৪ বছরের বাম সরকারকে হটানো প্রায় ব্রিটিশদের দেশ থেকে তাড়ানোর মতোই বিষয় ছিল। সেটা একক ভাবে মমতা করে দেখিয়েছেন।’