তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হ্যাট্রিক করার পর থেকে জোর দিয়েছেন জনসংযোগে। নেতা থেকে মন্ত্রী সকলের ক্ষেত্রেই একটাই নির্দেশ, মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। না হলে কাটা যাবে নাম। এই নির্দেশ যাতে অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয় তার জন্য অস্থায়ী নয়া তৃণমূল ভবনেও নেতা–জনপ্রতিনিধিদের জন্য সময়সূচি বেঁধে তৈরি হয়ে গেল রস্টার।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, সপ্তাহ জুড়ে এই রস্টার অনুযায়ী, কোন নেতা কোন বিষয়ে কথা বলতে রাজ্য দফতরে হাজির থাকবেন তা নোটিশ আকারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম সেই তালিকায় নেই। একদিকে দলীয় কর্মীদের সহযোগিতা অন্যদিকে মানুষ সমস্যা নিয়ে এলে তা শোনার জন্যই এই পদক্ষেপ।
কাদের নাম আছে রস্টারে? নয়া রস্টার অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেসের চার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সপ্তাহে একদিন করে জেলার নেতা–কর্মীদের সমস্যা শুনবেন। শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র সর্বভারতীয় এবং রাজ্য সভাপতি দোলা সেন ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন। এমনকী মণীশ গুপ্ত, মালা রায়, শান্তনু সেনও থাকবেন। ছাত্র সংগঠনের নেতা–নেত্রী অশোক রুদ্র, দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং কৃষ্ণকলি বসু থাকবেন। সংগঠন নিয়ে নেতা–কর্মীদের কথা শুনবেন সব্যসাচী দত্ত, শুভাশিস চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক, সমীর চক্রবর্তী, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়রা।
কবে কে থাকছেন তৃণমূল ভবনে? রস্টার সূত্রে খবর, সোমবার, মঙ্গলবার এবং রবিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত থাকবেন দোলা সেন। রবিবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টে থাকবেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তন্ময় ঘোষ এবং সমীর চক্রবর্তী। সোমবার ১১টা থেকে বিকেল ১টা থাকবেন সব্যসাচী দত্ত, শুভাশিষ চক্রবর্তী ও পার্থ ভৌমিক। এছাড়া বসবেন দেবাশিষ কুমার। সোমবার–বুধবার–শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে অফিসে থাকবেন তৃণমূল যুব সভাপতি সায়নী ঘোষ। মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টে থাকবেন সংখ্যালঘু সেলের হাজি শেখ নুরুল ইসলাম ও খালিদ এবাদুল্লা। শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ১টা থাকবেন জয় হিন্দ বাহিনীর কার্তিক বন্দোপাধ্যায়।