আরজি কর কাণ্ডের আবহে রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জহর সরকার। সেই ফাঁকা আসনে উপনির্বাচন আসন্ন। এই আবহে সেই আসনের জন্যে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, রাজ্যসভা উপনির্বাচনের জন্যে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করছে দল। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল পর্যন্ত সিপিএমে ছিলেন ঋতব্রত। বামেদের টিকিটেই রাজ্যসভার সাংসদও হয়েছিলেন তিনি। ফের তিনি রাজ্যসভায় যেতে চলেছেন। এবার ঘাসফুল শিবিরের হয়ে। (আরও পড়ুন: জোটসঙ্গীরা নাকি দেখতেই পারে না তাঁকে, ইন্ডিয়া ব্লক নিয়ে বিস্ফোরক মমতা)
আরও পড়ুন: ভারতকে 'অস্থিতিশীল করার' চেষ্টায় আছে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট: বিজেপি
ঋতব্রতকে প্রার্থী করে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তৃণমূলের তরফ থেকে লেখা হয়েছে, 'আসন্ন রাজ্যসভার উপনির্বাচনে দলের তরফ থেকে প্রার্থী করা হচ্ছে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে আমরা এর জন্যে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, উনি রাজ্যসভায় তৃণমূলের যোগ্য উত্তরাধিকার বহন করবেন এবং প্রত্যেক ভারতীয়ের অধিকারের জন্যে কথা বলে যাবেন।' প্রসঙ্গত, দেশের চার রাজ্যের ৬টি ফাঁকা আসনের জন্য উপনির্বচন হবে ডিসেম্বরেই। তার মধ্যে বাংলার একটি আসন আছে। এছাড়া ওড়িশা, হরিয়ানার একটি করে আসন এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ৩টি আসনেও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মনোনয়ন পেশ করার শেষ তারিখ ১০ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্রের স্ক্রুটিনি করা হবে ১১ ডিসেম্বর। ১৩ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে। আর নির্বাচন হওয়ার কথা ডিসেম্বরের ২০ তারিখে। (আরও পড়ুন: উপাসনাস্থল আইনের বৈধতা নিয়ে শুনানি শুরু হবে সুপ্রিম কোর্টে, গঠিত বিশেষ বেঞ্চ)
আরও পড়ুন: ৮৪'র দাঙ্গাকে 'গণহত্যা' আখ্যার প্রস্তাব, কানাডার সংসদে তারপর যা হল…
এর আগে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফআ দিয়ে জহর সরকার বলেছিলেন, তৃণমূল সাংসদ হওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। জহর সরকারের ইস্তফার জেরে রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১২-তে। জহর সরকার যখন পদত্যাগ করেন, তখনও সাংসদ হিসাবে আরও ১৫ মাসের মেয়াদ বাকি ছিল তাঁর। উল্লেখ্য, বাংলা থেকে ১৬টি রাজ্যসভা আসনের মধ্যে একটি খালি হয়ে যায়। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের ১২ জন ছাড়াও বাংলা থেকে বিজেপির দুই এবং বামেদের একজন রাজ্যসভা সাংসদ আছেন।
এদিকে বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ৯০-এর দশক থেকে ঋতব্রত বন্দ্য়োপাধ্যায় বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁকে রাজ্য়সভায় পাঠিয়েছিল সিপিএম। কিন্তু দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের মতো গুরুতর অভিযোগে ২০১৭ সালে তাঁকে দল বের করে দেয় আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকে শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এবার ফের দীর্ঘ কয়েক বছর পর রাজ্যসভায় পা রাখবেন তিনি।