আন্দোলনরত কৃষকদের উপর লাঠিচার্জ হয়েছে হরিয়ানায়। হরিয়ানা পুলিশ করনালের ঘরাউন্ডা টোল প্লাজায় লাঠিচার্জ করে কৃষকদের। এই ঘটনার প্রতিবাদে আরও বড় আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষক সংগঠন মহাসড়ক এবং টোল প্লাজা অবরোধ করার ডাক দিয়েছে। রবিবার ডাকা হয়েছে মহাপঞ্চায়েতও। এই পরিস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদীকে তুলোধনা করলেন প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। ট্যুইটারে হরিয়ানায় কৃষকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের ভিডিও শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘মোদী মন কি বাতে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন, আর তাঁর পুলিশই হরিয়ানার করনালে কৃষকদের লাঠিপেটা করে।’
কিছুদিন আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন কি বাত নিয়ে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর মনের কথা কেউ শুনতে চায় না। দেশের গরীব মানুষের কথা বলুন। মানুষ তা শুনতে চায়। এবার জহর সরকারও একই ভঙ্গিতেই তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের হরিয়ানার প্রধান গুরনাম সিং চধুনি কৃষকদের কাছে আবেদন করেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া কৃষকদের হরিয়ানা পুলিশ মুক্তি না দিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চালিয়ে যান।’
এই পরিস্থিতিতে করনালের মহকুমাশাসক আয়ুষ সিনহার একটি ভিডিও শোরগোল ফেলে দিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। ওই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে এগোলেই যেন মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় কৃষকদের।’ হরিয়ানার কারনালে আন্দোলনকারী কৃষকদের উপর লাঠিচার্জ করার আগে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই মহকুমা শাসক।
এই কৃষকদের উপর লাঠিচার্জের তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাও। তাঁর কথায়, ‘আপনি হরিয়ানভিদের হৃদয়ে আঘাত করছেন খট্টর সাহেব। কৃষকদের এই রক্ত কিন্তু বৃথা যাবে না। নতুন প্রজন্মের কাছে আপনাকে উত্তর দিতে হবে।’ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের নির্বাচনী এলাকা করনাল।