রাত পোহালেই শহিদ স্মরণ তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর গলা শোনা যাবে ভিন রাজ্য থেকে রাজধানীর বুকেও। নিজের রাজ্য বাংলায় তো প্রতিটি ব্লকে ব্লকে শোনা যাবে তাঁর কন্ঠস্বর। আর কল্লোলিনী কলকাতার জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। তৃতীয়বার হ্যাট্রিক করে ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই মহানগরীর মানুষের সঙ্গে নস্টালজিক ট্রামকে জুড়ে দিতে চলেছেন তিনি। যা এবারের শহিদ স্মরণকে স্মরণীয় করে রাখবে।
জানা গিয়েছে, একুশে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে একটি ট্রাম সাজানো হয়েছে। যা আগামী তিনদিন কলকাতার রাজপথে ঘুরবে। আজ নোনাপুকুর ট্রাম ডিপোয় সেই ট্রামের উদ্বোধন করেন বর্ষীয়ান বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বাংলার নেত্রীর লড়াই আন্দোলন থেকে নানা বিষয় এই ট্রামে স্থান পেয়েছে।
কী থাকছে এই ট্রামে? এই ট্রামে থাকছে ১৯৯৩ সালে শহিদ হওয়া কর্মীদের বিস্তারিত তথ্য। সেদিনের আন্দোলন–সংগ্রেমকে এখানে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এতদিন সবাই নেত্রীর মুখ থেকেই শুনেছেন ২১ জুলাইয়ের ঘটনা। এবার তা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই ট্রামের ভেতরে–বাইরে গোটা ঘটনা ছবির আকারে তুলে ধরা হবে। ইতিমধ্যেই সেই ছবি দিয়ে ট্রামটি সাজিয়ে তোলা হয়েছে। অর্থাৎ কেন প্রতিবছর ২১ জুলাই পালন করা হয় তাও এই ট্রামেই লিপিবদ্ধ আছে।
আজ ট্রামটির উদ্বোধন করে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি বিরোধী রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করে কেন্দ্রের জনবিরোধী, পুঁজিবাদী সরকারকে উৎখাত করতে হবে। তাই নিজের রাজ্য ছাড়া অন্যান্য রাজ্যেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ এই ট্রামের ব্যবস্থা কেন? তিনি জানান, মানুষের কাছে শহিদদের বিষয়গুলি তুলে ধরা হবে। তখন কোন লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে উঠে আসতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে তাও তুলে ধরা হবে। ১৩ জন শহিদ হয়েছিলেন। তাঁদের কথাও এখানে তুলে ধরা হয়েছে।