আদালতের নির্দেশে আস্থাভোটেও ভাটপাড়া পুরসভা ফলাফল বদলালো না। ১৯-০ ভোটে পাশ হল অনাস্থা প্রস্তাব। একই সঙ্গে পুরসভা পুনর্দখল করল তৃণমূল। এদিনের ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণই করেননি বিজেপির কাউন্সিলররা। স্থানীয় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। তাই ভোটাভুটিতে যায়নি বিজেপি।
সোমবার ভাটপাড়ায় ভোটাভুটির নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের সিঙ্গল বেঞ্চ। জেলাশাসকের পৌরহিত্যে ভাটগ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে কেউ পুরপ্রধানের আসনে থাকতে পারেন না। গত বৃহস্পতিবার আস্থাভোটে ভাটপাড়া পুরসভার দখল নেয় তৃণমূল। কিছুক্ষণের মধ্যেই অনাস্থা প্রক্রিয়াকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে হাইকোর্ট। ফলে ঝুলে থাকে পুরসভার ভবিষ্যত্। সোমবার সেই মামলায় মঙ্গলবার সেখানে আস্থাভোট করানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালতের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার পুরভবনে জারি হয় ১৪৪ ধারা। মোতায়েন হয় RAF. কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা মেলেনি বিজেপি কাউন্সিলরদের। এর পর ভোটগ্রহণ পরিচালনা করেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক। গোটা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছে।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে ভোটের ফল ও ভিডিয়ো ফুটেজ বন্ধ খামে আদালতে পেশ করতে হবে জেলাশাসককে। তবে বিজেপি কাউন্সিলররা হাজির না হওয়ায় ভোটের ফল জানতে আর সেই খাম খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল না।
এদিনের আস্থাভোটের পর উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ওরা যে হারবে তা আগে থেকেই জানত। ভাইপোকে গাছে তুলে মই সরিয়ে নিয়েছেন কাকা অর্জুন সিং।
বলে রাখি, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে অর্জুন সিং সাংসদ হওয়ার পর থেকেই ভাটপাড়া দুপক্ষের জন্য প্রেসটিজ ফাইট। সেই ফাইটে প্রথম ল্যাপে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ল্যাপে এগিয়ে গেল বিজেপি। সামনে পুরভোটে কোন পক্ষ বাজিমাত করে সেদিকেই নজর সবার।