পে লোডারের ধাক্কায় এক ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বুধবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁশদ্রোণী। স্থানীয় বাসিন্দারা ওই পে লোডারে ভাঙচুর চালায়। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এদিকে পুলিশ এলাকায় আসার পরে পাটুলি থানার ওসিকে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
প্রায় ৭ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয় পুলিশকে। পুলিশের সঙ্গে কার্যত হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। একেবারে খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। পুলিশকে কার্যত তাড়া করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকী স্থানীয় মহিলাদের উপর পুলিশ চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে এই ঘটনার পরে পুলিশকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে শাসকদলের লোকজন। স্থানীয়দের দাবি, একেবারে পরিচিত তৃণমূলের নেতা কর্মীরা এগিয়ে আসেন পুলিশকে উদ্ধারে। তারাই স্থানীয়দের রীতিমতো ধাক্কা দিয়ে ফেলে পুলিশকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ছবি দেখে কার্যত চমকে গিয়েছেন অনেকেই। একী কাণ্ড! তবে কাহিনির শেষ এখানেই নয়।
সেই পরিচিত তৃণমূল নেতা কর্মীদের সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনারা কে? আপনাদের পরিচয় কী?
সেই প্রশ্নের উত্তরে ওই পরিচিত তৃণমূল কর্মীরা বলেন, আমরা বিজেপির লোক। এমনকী সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও ধাক্কা দেন তারা। ক্যামেরার লেন্স হাত দিয়ে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ক্যামেরা দেখে ছুটে পালানোরও চেষ্টা করেন তৃণমূলের ওই নেতা কর্মীরা।
এদিকে তৃণমূলের একাংশের এই ভূমিকা দেখে রীতিমতো হতবাক স্থানীয়রা। তাদের দাবি যারা পুলিশকে উদ্ধারের জন্য এসেছিল তারা পরিচিত রুলিং পার্টির লোক। পার্টির লোক। তৃণমূলের লোক। অপর এক মহিলা বলেন, আমাদের পরিচিত তৃণমূলের লোক। ওরাই এসেছিল।
এদিকে যে ব্যক্তিকে এদিন পুলিশকে উদ্ধার করতে নিয়ে আসতে দেখা গিয়েছিল, যে ব্যক্তি এদিন নিজেকে বিজেপি বলে দাবি করেন তাঁর একাধিক ছবি দেখা গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে তার ছবি রয়েছে।
গোটা ঘটনায় বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, পুলিশকে বাঁচাতে এগিয়ে এল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আর তারা আবার বাঁচার জন্য বলল তারা নাকি বিজেপি। আসলে ওদের সময় হয়ে গিয়েছে। বাঁচার জন্য বলছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত বুধবার সকালে কোচিং সেন্টার যাচ্ছিল বাঁশদ্রোণীরই নবম শ্রেণির এক ছাত্র। তখন মাটি কাটার কাজ চলছিল। এমন সময় ওই জেসিবিটি ধাক্কা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারে স্কুলপড়ুয়াকে। আর তাতেই গাড়িতে পিষ্ট হয়ে যায় ওই ছাত্রটি।