লোকসভা নির্বাচনের এখনও বাকি দুই বছর। তবে এখন থেকেই কোমর কষে নামতে চাইছে তৃণমূল। লক্ষ্য শুধু বিজেপিকে হারানো নয়, বিরোধীদের মধ্যে নিজেদের আধিপত্ব বিস্তার করাও। তবে এরই মাঝে পরপর দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার রাজ্যের শাসকদল। প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় হাজতে। দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই বারংবার তলব করছে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। এরই মাঝে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত এগিয়ে চলেছে সরকারের বিরুদ্ধে। এই সবের মাঝে দলের ভাববূর্তি কোথায়? তা জানতেই গোপন সমীক্ষা করে তৃণমূল কংগ্রেস। এবং সমীক্ষার ফল দেখে মুখে হাসি ফুটতে পারে মমতা-অভিষেকের।
এখনই লোকসভা নির্বাচন হলে রাজ্যের কটা আসন পাবে তৃণমূল? সমীক্ষায় উঠে এল সেই সংখ্যা। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী এখনই যদি লোকসভা নির্বাচন হয় তাহলে রাজ্যের ৩৮টি আসন যাবে তাদের ঝুলিতে। বিজেপি পাবে মাত্র চারটি আসন। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার রানাঘাট ও পুরুলিয়া বাদে বাকি সবকটি আসনে তৃণমূল জিতবে বলে দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়।
আরও পড়ুন: বাড়িতে সর্বোচ্চ কত টাকা নগদ রাখা যায়? কী বলছে আয়কর দফতরের নিয়ম
যদিও এই সমীক্ষাকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দল বিজেপি। দলের মুখপাত্র সমীক ভট্টাচার্য কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘গতবার ৪২-এ ৪২ বলেছিলেন। বিজেপি ফিনিশ বলেছিলেন।’ এদিকে যেখানে মমতার দল লোকসভায় দুর্দান্ত ফলের স্বপ্ন দেখছে, সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, ‘ডিসেম্বরের পর এই সরকার কার্যত থাকবে না।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘২০২৪ সালে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে হবে।’ এরই মাঝে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এবং কয়লা ও গরু পাচারকাণ্ডে ক্রমেই কোণঠাসা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নাম জড়াচ্ছে তৃণমূল নেতা বা ঘনিষ্ঠদের। তবে ঘাসফুল শিবিরের আশা, মানুষ মমতার উপর ভরসা রাখবেন। এর আগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে মমতার ভাবমূর্তি দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। দলের আশা, ২০২৪ সালেও তাই হবে। সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াকু মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে যুব সমাজের মন জয় করতে চায় তৃণমূল।