ভবানীপুরের উপনির্বাচনে প্রার্থী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে হবে উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী প্রচার। বুধবার থেকে প্রচারে নামবেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো। এখনই শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখনের কাজ। মাঠে নেমেছেন মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা। ‘ভবানীপুর নিজের মেয়েকেই চায়’ ব্যানারে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা এলাকায়। বড় বড় করে দেওয়ালে লেখা হচ্ছে ‘খেলা হবে’। এই প্রেক্ষাপটে নেত্রীকে জেতাতে ভবানীপুরে ওয়ার্ডভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের।
নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, প্রচার করতে গিয়ে কোনওরকম কোভিডবিধি ভাঙা হলে সংশ্লিষ্ট দলের প্রার্থীকে আর প্রচার করতে দেওয়া হবে না। ওয়ার্ডভিত্তিক দায়িত্বের পরই এক ওয়ার্ডের নেতা–কর্মীরা যাতে অন্য ওয়ার্ডে গিয়ে প্রচার না করেন তা নিয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এখানের প্রচারে জেলার নেতাদের আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই প্রচারের জন্য ২০ জনের টিম তৈরি হয়েছে। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। ৮২, ৭৪ ও ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশীষ কুমার। ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারের দায়িত্বে থাকছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে নেত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘২০১১ সালে দিদি ৫৪ হাজার ২১৩ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের ব্যবধান কিছুটা কমে গিয়েছিল। এবারের উপনির্বাচনে ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রথমবারের থেকেও যাতে বেশি ভোটে জেতানো যায় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’ তবে প্রচারে থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, সায়নী ঘোষ, কুণাল ঘোষ–সহ আরও অনেকে।