সামনে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। তার মধ্যে গোয়ায় নাকি বিজেপিকে হারাতে চেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে চায় কংগ্রেস। যদিও তা খারিজ করে দিয়েছে কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে ‘দ্বিচারী’ তকমা দিল তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলায়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে গোয়ার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন রাহুল গান্ধী। তার আগে আবার কংগ্রেসকে ‘দ্বিচারী’ বলে কটাক্ষ করা হল ‘জাগোবাংলা’র সম্পাদকীয় কলামে।
কেন এমন করা হয়েছে? মুখপত্র থেকে জানা গিয়েছে, চণ্ডীগড় পুরসভা নির্বাচনে যেভাবে বিজেপির জন্য মাটি ছেড়ে দিয়েছে কংগ্রেস, তারই তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। এমনকী কংগ্রেসকে বিজেপির দোসর বলেও আক্রমণ শানানো হয়েছে। সুতরাং এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কোনও জোট গড়ে উঠবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী লেখা হয়েছে সম্পাদকীয়তে? আজ জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘যতদিন যাচ্ছে তত কংগ্রেসের চরিত্র প্রকাশ্যে আসছে। কংগ্রেস নাকি ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করা বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায় না। কিন্তু কী হল হরিয়ানায়? চণ্ডীগড় পুরনিগমে সদ্য নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের ফল এইরকম—আপ–১৪, বিজেপি–১২, কংগ্রেস–৮, অকালি দল–১। সব মিলিয়ে ৩৫ আসনের পুরসভা। আপের মেয়র পদে বসার সম্ভাবনা প্রবল ছিল। কিন্তু কোন ক্ষমতাবলে বিজেপি মেয়রের পদ দখল করে নিল, তা জানলে অবাক হতে হয়। বিজেপির এটাই চরিত্র। এখন তার দোসর কংগ্রেস।’
সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসের গোয়ার ইনচার্জ মহুয়া মৈত্র টুইটারে লেখেন, ‘নিশ্চিত থাকুন, আমরা (তৃণমূল কংগ্রেস) গোয়াতে বিজেপিকে হারানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতেও এটি করেছেন। গোয়াতেও তার পুনরাবৃত্তি করার জন্য পিছপা হবে না তৃণমূল কংগ্রেস।’ উল্লেখ্য, সোমবার রাহুল গান্ধীর সঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ কেসি বেণুগোপাল ও বর্ষীয়ান নেতা পি চিদম্বরমের বৈঠকের পরই গোয়ায় তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোটের জল্পনা শুরু হয়েছিল। যদিও বেণুগোপাল সাফ জানান, তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি।