কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ আর দু’সপ্তাহ বাদেই কলকাতা পুরসভা নির্বাচন। তারিখটা হল—১৯ ডিসেম্বর। ইতিমধ্যেই সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। মনোনয়ন জমাও শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকী মাঠে–ময়দানে নেমে প্রচারও করতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা। দেওয়াল লিখন জোর কদমে চলছে। পথসভাও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রচারের শুরুতেই ঝড় তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস যেখানে জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে, সেখানে বিজেপি এখনও ঠিকমত ঘর গোছাতেই পারেনি।
বেহালা অঞ্চলে দেখা গেল, এখানের পশ্চিম বিধানসভার বেশিরভাগ দেওয়ালে লিখে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থীদের নাম বড় করে দেখা যাচ্ছে দেওয়াল জুড়ে। সেখানে বিজেপির দেওয়াল লিখন প্রায় নেই বললেই চলে না। আর একুশের নির্বাচনে একটি আসন না পেলেও বামেরা কিন্তু বিজেপির থেকে এগিয়ে রয়েছে দেওয়াল লিখনে। দেওয়াল লিখনে সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে বামেরা। বাড়ি বাড়ি প্রচারেও যাচ্ছেন সিপিআইএম কর্মীরা।
একুশের নির্বাচনে চমকপ্রদ সাফল্যের পর কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সাফল্য আবার আসবে তা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বিজেপি কী কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের পর প্রদান বিরোধী দল হতে পারবে? ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বামেদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনেও তাই। কিন্তু কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে বামেরা যেভাবে সর্বত্র ঝাঁপিয়েছে তাতে বিজেপির কাছে চাপ তৈরি হচ্ছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে আজ, বুধবার প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ৪ ডিসেম্বর, শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তাই জোরকদমে প্রচার চলছে। সেখানেই পিছিয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে বিজেপিকে। দক্ষিণ কলকাতা এবং উত্তর কলকাতাতে সেভাবে প্রচারে আসতে পারেনি বিজেপি। অথচ তৃণমূল কংগ্রেসের পরেই জায়গা করে নিয়েছে বামেরা। তাই প্রশ্ন উঠছে, পুরসভায় প্রধান বিরোধীদল কী বামফ্রন্ট হবে?