বঙ্গ বিজেপির চার সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। ফলে তাঁরা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। আর ছাঁটাই হয়েছেন দুই মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরী। তবে সাত বছরের নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় এবারও কোনও পূর্ণমন্ত্রী পেল না বাংলা। তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হলেন নিশীথ প্রামানিক, জন বার্লা, সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুর। এবার এই ইস্যুতে টিপ্পনী কাটলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই পুরস্কার আসলে সান্ত্বনা পুরস্কার।’
এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। কুণাল ঘোষ বিষয়টি নিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘পূর্ণমন্ত্রী নন বাংলা থেকে চার রাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁদের মন্ত্রিত্বের শুভেচ্ছা জানাই। তবে দামি মানিব্যাগে রাখলে অচল পয়সা কি আর সচল হয়? বাবুল–দেবশ্রী রাজ্যকে কি দিয়েছেন হিসেবটা চান। বুঝবেন নতুনদের এই সান্ত্বনা পুরস্কারের দাম কতটুকু। নির্বাচনের যে অঙ্কে এই খেলা, সে অঙ্ক মিলবে না।’ অর্থাৎ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে যে আসনগুলি পেতে চান বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা আসলে হবে বলেই মনে করছেন কুণাল ঘোষ। তার প্রেক্ষিতেই এই টুইট–টিপ্পনী।
উত্তরবঙ্গ, জঙ্গলমহল, মতুয়া এবং আদিবাসী–রাজবংশী জনগোষ্ঠীর ভোট পেতেই এঁদের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বৈতরণী পার করতেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাই বাংলা থেকে ঠাঁই পেলেন নিশীথ, শান্তনু, সুভাষ, জন বার্লারা। আর সম্ভবত বিজেপির এই তত্ত্বকেই চ্যালেঞ্জ করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘নির্বাচনের যে অঙ্কে এই খেলা সে অঙ্ক মিলবে না।’
উল্লেখ্য, এবার মন্ত্রী নিজের হাতে ঠিক করেছেন নরেন্দ্র মোদী। পারফরম্যান্স দেখেই তিনি ঠিক করেছেন। যাঁদের নাম মন্ত্রীর তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে, তাঁদের যে তিনি ব্যর্থ মনে করছেন সে বিষয়ে সন্দেহের জায়গা নেই। আর সেই রিপোর্ট কার্ড হাতিয়ার করেই কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, ‘বাবুল–দেবশ্রী বাংলাকে কী দিয়েছে?’ নিশীথদের সম্পর্কে তাঁর পর্যবেক্ষণ, তাঁরা অচল পয়সা। তাঁদের নির্বাচনের বাজি করা হয়েছে। কুণালের শ্লেষ, ‘সাত বছরে বাংলা একজনও পূর্ণমন্ত্রী পায়নি।’