আরজি কর আন্দোলনের আবহে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল বলে মন করছিলেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লষক। এমনকী শাসকদলের অনেকেও এই সময়কালে 'দলের পাশে' ছিলেন না। কুণাল ঘোষের মতো নেতাকে এই নিয়ে আক্ষেপ করতেও শোনা গিয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, আরজি কর আবহে অনেক তৃণমূল নেতা মমতা এবং অভিষেকের করা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট রিটুইট বা শেয়ারও করছেন না। তবে সদ্য অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনের আবহে সেই সব 'কালো মেঘ' পুরোপুরি কেটে গিয়েছে তৃণমূলের আকাশ থেকে। আর এই আবহে আরজি কর আন্দোলন নিয়ে আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (আরও পড়ুন: ভারতকে 'অস্থিতিশীল করার' চেষ্টায় আছে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট: বিজেপি)
আরও পড়ুন: জোটসঙ্গীরা নাকি দেখতেই পারে না তাঁকে, ইন্ডিয়া ব্লক নিয়ে বিস্ফোরক মমতা
নিউজ ১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, 'যে কেউ আন্দোলন করতে পারে, কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে এর মধ্যে রাজনীতি ছিল। সবাইকে বলছি না। কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে এর পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল। প্রথম প্রথম আমরা অনেকেই কিছু বুঝতে পারি না। দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বুঝি না। রাজনৈতিক দল আন্দোলন করতেই পারে। কিন্তু যেভাবে এই ঘটনা তুলে ধরা হয়েছিল…' (আরও পড়ুন: ৮৪'র দাঙ্গাকে 'গণহত্যা' আখ্যার প্রস্তাব, কানাডার সংসদে তারপর যা হল…)
আরও পড়ুন: উপাসনাস্থল আইনের বৈধতা নিয়ে শুনানি শুরু হবে সুপ্রিম কোর্টে, গঠিত বিশেষ বেঞ্চ
আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা রাজ্য। এমনকী দুর্গাপুজোর সময়তেও এই ইস্যুতে আন্দোলন প্রতিবাদ হয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। ধর্মতলায় অনশনে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আন্দোলনের জেরে নাগরিক সমাজ রাস্তায় নেমেছিলেন। তখন গোটা রাজ্যে 'সরকার বিরোধী' হাওয়া বয়ে গিয়েছিল বলে মনে করেছিলেন অনেকেই। তবে এত কিছুর মাঝেও বাংলার ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে আরজি করের কোনও প্রভাবই পড়েনি। বরং বাংলার সেই ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের সবকটিতেই জয়ী হয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে অবশ্য প্রাথমিক ভাবে চুপ ছিলেন আন্দোলনকারীরা। তবে সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় ‘জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর তরফে। (আরও পড়ুন: ইউনুস জমানায় বাংলাদেশ থেকে কতজন অনুপ্রবেশ করেছে ভারতে? জানাল BSF)
আরও পড়ুন: 'একমাস সময় চেয়েছিলাম...', জয়নগরের বিচারের পরে 'আরজি কর আক্ষেপ' মমতার গলায়
উপনির্বাচন নিয়ে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে, 'কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গে ছ’টি আসনে উপনির্বাচন হল। এবং সেই আসনগুলিতে শাসকদল জিতেছে বলে এক প্রকার ভাবে আমাদের নাগরিক আন্দোলনকে ব্যঙ্গাত্মক ভাবে আক্রমণ হল। বলা হল, ‘কী হল এত আন্দোলন করে, সেই তো শাসকদল জিতেই গেল!’ বার বার এই ভাবে আন্দোলনকে দলীয় রাজনীতির মাপকাঠিতে ফেলে দেওয়ার কদর্য প্রয়াসকে তীব্র নিন্দা আমরা আগেও জানিয়েছি, এখনও জানাচ্ছি। আমাদের আন্দোলন স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বদল, দুর্নীতি-হুমকি প্রথার বিরুদ্ধে। রাজনীতির সমীকরণকে এর সঙ্গে টেনে এনে আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করা চেষ্টা হচ্ছে।'