সোমবার তৃণমূলের পুরভোটের প্রস্তুতি সভায় প্রত্যাশিত ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণজুড়ে ছিল বিজেপির সমালোচনা। সঙ্গে বাম – কংগ্রেসকেও আক্রমণ করে তাদের মান রাখলেন তৃণমূলনেত্রী। যদিও প্রাক্তন শাসকদল ও তার শরিককে নিয়ে বেশি কথা খরচ করেননি তিনি। শুধু বলেন, ‘বিজেপিকে লাইনে রাখতে’ তৃণমূলের সঙ্গে আসেনি তারা।
এদিন মমতা বলেন, ‘আমি সিপিএম – কংগ্রেসকে বলেছিলাম, আমাদের সঙ্গে আসুন। একসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করি। কিন্তু ওদের পছন্দ হল না। ওদের বিজেপিকে লাইনে রাখতে হবে।’
রবিবার শহিদ মিনারের সমাবেশ থেকে ২০২১ সালে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসবে বলে দাবি করেন অমিত শাহ। লক্ষ্য বেঁধে দেন ২০০ আসনের। এদিন মমতার কটাক্ষ, ‘বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে ২০০টিকেই কেন লক্ষ্য করল বিজেপি? বাকি আসনগুলো কি কংগ্রেস আর বিজেপির জন্য?’
২০১১-র পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থানের পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপ করে এসেছে তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেরা। বামেদের দাবি, গত সপ্তাহে ভুবনেশ্বরের বৈঠকে অমিত শাহের সঙ্গে সেটিং করতে গিয়েছিলেন মমতা। তার পরই কলকাতায় সভা করার অনুমতি পান শাহ। রবিবারের সভায় সেকথা উল্লেখও করেন তিনি। বলেন, ‘এই প্রথম অনুমতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে সভা করতে পারলাম। তার মানে ২০১৯-এর নির্বাচনের পর পরিস্থিতি বদলেছে।‘