বৈভব তিনি চান না। তাই আধুনিকতায় ভরা উত্তর পঞ্চান্নগ্রামের তৃণমূল ভবন থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিতে চান। সেই ইচ্ছেকেই প্রাধান্য দিয়ে এবার নতুন অস্থায়ী তৃণমূল ভবন তৈরি হচ্ছে বাইপাসের ধারে। এই অফিসটি ইস্টার্ণ মেট্রোপলিটন বাইপাসের ধারে একটি ধাবার পাশে। একটি দোতলা বাড়িকেই ব্যবহারযোগ্য করে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে থাকবে অফিস–ঘর থেকে বৈঠক করার ঘরও। এই কথাটি জানিয়েছেন খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিছুদিন আগেই তৃণমূলনেত্রী দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘আমাদের দল মা–মাটি–মানুষের দল। এটা আমাদের স্লোগান। এমনকী সরকারের মনোভাবও সেটাই। তাই আমাদের দলের অফিসে বৈভবে ভরা থাকতে পারে না।’ এরপর থেকেই বিকল্প বাড়ি খোঁজা শুরু হয়। ফিরহাদ হাকিমকে এই দায়িত্ব দেওয়া হযেছিল বলে সূত্রের খবর। এবার তা পাওয়া গেল।
সূত্রের খবর, এখনকার তৃণমূল ভবন ধারেভারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। যা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো পছন্দ করছেন না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তিনি বলেছিলেন, সাধারণ মানুষ আমার কাছে আসতে সংকোচবোধ করবেন এই অফিস দেখে। আমি সাধারণের থেকে উঠে আসা নেত্রী। তাই সাধারণভাবেই থাকতে চাই। কোনও বৈভব চাই না।
উল্লেখ্য, পূর্বের তপসিয়া রোডের তৃণমূল ভবন ভেঙে নতুন করে সংস্কার করা হচ্ছিল। আর তখনই বেঁকে বসেন তৃণমূলনেত্রী। এমনকী নিজের ক্ষোভের কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমকে বলেছিলেন। তারপর থেকেই বিকল্প বাড়ি খোঁজা শুরু হয়। এখন তপসিয়া রোডে তৃণমূল ভবনে যাওয়ার রাস্তার ধারে একটি অস্থায়ী ভবন তৈরি করা হয়েছে। সেখানে আছে তিনটি ঘর। যেখানে নেতারা নিয়মিত বসেন। বিকল্প হিসেবে নতুন বাড়িটি নেওয়া হয়েছে।