শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থার উল্লেখ করে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংঘের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকে কটাক্ষ করায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিদেশমন্ত্রীর কাছে নালিশ করল তৃণমূল। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। চিঠিতে আবেদন জানানো হয়েছে, শুভেন্দুর মন্তব্যের যেন নিন্দা করে বিদেশমন্ত্রক।
স্পেন যাওয়ার পথে গত ১২ সেপ্টেম্বর দুবাই বিমানবন্দরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘের সঙ্গে দেখা হয় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সাক্ষাতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী। পালটা মমতাকে শ্রীলঙ্কায় আমন্ত্রণ জানান রনিল। মুখ্যমন্ত্রীর সেই সাক্ষাৎকে কটাক্ষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইটারে একটি কাল্পনিক কথপোকথন লেখেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন,
রনিল বিক্রমাসিংঘে - আমি শুনেছি আপনি না কি আপনার রাজ্যকে শ্রীলঙ্কার মতো আর্থিক সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় – কী করে বাজার থেকে টাকা ধার নিতে হয় সেটা শেখালে আমি আপনাকে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাব।
রনিল বিক্রমাসিংঘে - কিন্তু বিনিয়োগ করার মতো আর্থিক অবস্থা আমাদের নেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় – চিন্তা করবেন না, আপনি এসে ২ – ৩ দিন আনন্দ করুন আর একটা MOU স্বাক্ষর করুন। এখানে এসে সবাই শুধু MOU স্বাক্ষর করে, কেউ বিনিয়োগ করে না। আমার শুধু ভালো ভালো হেডলাইন ছাপা নিয়ে কথা।
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে জয়শংকরকে ডেরেক লিখেছেন, এই মন্তব্য অবমাননাকর। শ্রীলঙ্কার মতো বন্ধুরাষ্ট্রের সম্পর্কে এই ধরণের মন্তব্য করা সংবিধানবিরোধী। দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির জন্য যখন কূটনীতিকরা অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তখন এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য সেই উদ্যোগের ক্ষতি করবে।
ডেরেক আরও লিখেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক সংকট থেকে বার করতে সবরকম সাহায্য করেছে ভারত। প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারী যে অসৌজন্য দেখিয়েছেন তার প্রতিবাদ করে বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি জারি করা উচিত।