সংসদীয় রাজনীতিতে একবার ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণের আওয়াজ তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তখন তা সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস আপত্তি করেছিল। আর এবার উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তাই সেখানে বারবার প্রচার করতে যাচ্ছেন কংগ্রেসের উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। মঙ্গলবার এআইসিসি’র সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে ৪০ শতাংশ আসন মহিলাদের দেওয়া হবে। মহিলাদের জন্য ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হবে।’
এই প্রসঙ্গ সামনে আসার পরই কংগ্রেসকে তুলোধনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করে বলা হয়েছে, ‘কংগ্রেস এখন তৃণমূল কংগ্রেসের পথ অনুকরণ করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই দেশের মধ্যে বাংলায় রাজনীতিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। আমরাই প্রথম দল যাঁরা সংসদীয় রাজনীতিতে ৪০ শতাংশ আসন মহিলাদের দিয়েছি। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কংগ্রেস আমাদের পথ অনুকরণ করছে। তাঁরা যদি সত্যিই এটাকে গুরুত্ব দেয় তাহলে শুধু উত্তরপ্রদেশ ছাড়া অন্যান্য রাজ্যেও মহিলাদের ৪০ শতাংশ আসন দিক।’
উল্লেখ্য, বাংলায় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য ইতিমধ্যেই সংরক্ষিত রয়েছে। প্রয়াত সাংসদ কৃষ্ণা বসু সংসদে আওয়াজ তুলেছিলেন সংসদীয় রাজনীতিতে ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করতে হবে। তবে সেটা হয়নি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বহু আসন মহিলাদের দিয়েছে। তাঁরা জিতেও এসেছেন। ৪০ শতাংশ আসন দেওয়া হয়েছে মহিলাদের। তাই আজ কংগ্রেস যা ঘোষণা করছে তা তৃণমূল কংগ্রেসের পথ অনুকরণ করার সামিল।
ঠিক কী বলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী? তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে ঘৃণা তৈরি হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতি সংস্কার করা সম্ভব মহিলাদের টিকিট দিয়ে এবং আসন সংরক্ষণ করে। উত্তরপ্রদেশের ৪০ শতাংশ টিকিট কংগ্রেস মহিলাদের দেবে। আমি প্রতিজ্ঞা করছি মহিলারাই উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে সম্পূর্ণ ভাগীদার হবেন। গোটা দেশে ৫০ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা উচিত।’