প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ১৩জন মুখ্যমন্ত্রীর বয়স ৬৫-র বেশি। তাহলে কী তারা বুথে গিয়ে ভোট দেবেন না। এই উদাহরণ দিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করল তৃণমূল কংগ্রেস। হালে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যারা ৬৫ বছরের বেশি তারা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি একটি চিঠিতে নির্বাচন কমিশনকে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। তৃণমূলের অভিযোগ এই সিদ্ধান্ত হঠকারী ও অসাংবিধানিক এবং এতে বিপন্ন হবে ভারতীয় গণতন্ত্র।
এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি করা হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরার কাছে। গত মাসে নির্বাচন কমিশন বলে এই পরিস্থিতিতে ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের বেরোনো উচিত নয়। তাই তাদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের বিকল্প থাকবে। কোভিড রোগী বা সন্দেহভাজনদের জন্যেও এই ব্যবস্থা থাকবে।
তবে এই কথা মানছে না তৃণমূল। তাদের মতে এতে ভোটের গোপনীয়তা নষ্ট হবে। কার্যত দেশের ৬ শতাংশ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হল বলে দাবি তৃণমূলের। প্রধানমন্ত্রী তো ৬৫-র বেশি বয়সী। তাহলে কি তিনি প্রচার করবেন কিন্তু ভোট দিতে যাবেন না, সেই প্রশ্ন করেছে তৃণমূল।
এর আগে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়া যেত। সেই নিয়মে সংশোধন করা হয়েছে। তাতে চটেছে তৃণমূল। যেখানে ভোটে অংশগ্রহণের কোনও বয়সের সীমা নেই, তাহলে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কেনও করা হচ্ছে, সেটা তাদের প্রশ্ন। একই সঙ্গে তাদের দাবি যে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়াটি জটিল।
এতে গণ রিগিং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যাতে শাসক দলই বেশি সুবিধা পেতে পারে, বলে তৃণমূলের অভিমত। এই প্রক্রিয়ায় যারা বয়স্ক তাদের কোভিড হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যেতে পারে ও বেশি খরচাও হবে বলে মনে করে তৃণমূল।