আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন থেকেই সংগঠন সাজাতে চান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরা, হরিয়ানায় সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার আগামী ৩১ মার্চের মধ্যেই দলের সাংগঠনিক নির্বাচন সেরে ফেলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে সর্বভারতীয় সভানেত্রী থাকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। এরপরও সেখানে কিছু রদবদল ঘটানো হবে। যা কাজ করবে ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য।
সম্প্রতি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন ১১ জন সাংসদ। তার মধ্যে দু’জন রাজ্যসভা এবং ন’জন লোকসভার সদস্য। এখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় দলের চিফ হুইপ। তাই তাঁকে নিয়ে নতুন ভাবনাচিন্তা থাকতে পারে। কাকে কোন দায়িত্বে নিয়ে আসা হবে সেটা এখান থেকে পরিষ্কার হয়ে যাবে। সম্ভবত ২ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া।
মদন মিত্র–পার্থ চট্টোপাধ্যায় বাদানুবাদ দেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দু’জনেই তাঁর কাছের। তাই তাঁদের নিয়েও কিছু ভাবা হতে পারে। একদিকে দলীয় শৃঙ্খল বজায় রাখা অন্যদিকে রাজ্যের বাইরে সংগঠনকে শক্তিশালী করতেই এই নির্বাচন করিয়ে নিতে চাওয়া হয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মনে করেন হাতে বেশি সময় নেই। কাজ এখন থেকেই করতে হবে।
এখন এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক পথেই চলছে। কিছু অন্তর্কলহ দেখা দিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের বাইরে সংগঠন মজবুত করে তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি। তা না হলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য তুলে ধরা যাবে না। এখন আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের এলাকাগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা জনসংযোগ চালাচ্ছেন। এই পর্ব মিটে গেলেই শুরু হয়ে যাবে দলীয় নির্বাচন বলে সূত্রের খবর। বিষয়টি প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে মনে করা হচ্ছে।