সোমবার বিধানসভায় পরিষদীয় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকেই রাজ্যের বিধায়কদের একমঞ্চে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী। সৌজন্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। বিধায়কদের নানা বিষয় নিয়ে বক্তব্য থাকে। যা জানাতে পারেন না প্রকাশ্যে। দলের অন্দরে জানানোও ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারেন না। এই আবহে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই বৈঠকের পরই তৈরি করা হয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। এই গ্রুপের নাম রাখা হয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল কংগ্রেস লেজিসলেটিভ মেম্বারস’। এবার থেকে এখানেই সব কিছু জানানো যাবে।
আর রাজ্যের নানা ইস্যু নিয়ে কী বক্তব্য রাখতে হবে সেই গাইডলাইনও মিলবে এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। বিধায়করাও নানা প্রশ্ন তুলতে পারবেন। যার জবাব মিলবে ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল কংগ্রেস লেজিসলেটিভ মেম্বারস হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। গতকাল বিধানসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের উদ্দেশে বলেন, ‘শৃঙ্খলা মানতে হবে সবাইকেই। সেটা না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর শোকজ করা হবে।’ তাঁর নির্দেশ, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে মাথায় রেখে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ হবে বিধায়কদের নিয়ে। সব কর্মসূচি দল ওই গ্রুপে জানিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন: ‘সাইবার এক্সপার্টদের মাধ্যমে পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে’, বিধানসভায় দাবি বাবুলের
তবে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন হয়েছেন অরুপ বিশ্বাস। তিনি রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী। আর বিধানসভায় অত্যন্ত অ্যাক্টিভ থাকেন। সব বিধায়কদের সঙ্গেই কথা বলে থাকেন অরূপ বিশ্বাস। দলের পুরনো নেতা হলেও সবার সঙ্গে সৎভাব রয়েছে তাঁর। এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ২২৫ জন। এমনকী বিধায়কদের বিষয়ে এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেই সিদ্ধান্ত জানাবে তৃণমূল পরিষদীয় দল। এখানে নিজেদের কথা জানাতে পারবেন দলের সব বিধায়করা। গতকালই জনসংযোগে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়া ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবার দলীয় শৃঙ্খলায় জোর দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আরও বেশি বিধায়কদের জনসংযোগে জোর দিতে বললেন তিনি। তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে যাতে কেউ না বাদ পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বললেন। দলীয় বিধায়কদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘এমন কোনও মন্তব্য প্রকাশ্যে করবেন না, যাতে দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। বিধায়কদের কারও কিছু বলার থাকলে ওখানে বলে দেবে। আমি ঠিক জানতে পেরে যাব। আমার কিছু বলার থাকলে ওখানেই সেটা বলে দেওয়া হবে। আজ কেউ মন্ত্রী, কাল বিধায়ক। ওসব নিয়ে ভাববেন না। মানুষের কাজ করুন।’