আগামী ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু একছাতার তলায় সবাই এখনও সেভাবে আসতে পারেননি। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের একত্রে নিয়ে এসে মহালয়ার দিন বিশেষ জনসভা রয়েছে হরিয়ানায়। এই বৃহৎ জনসভার ডাক দিয়েছে আইএনএলডি। আর এই জনসভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
হরিয়ানার জনসভায় যাবে তৃণমূল কংগ্রেস? সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিবেক গুপ্তা যাচ্ছেন হরিয়ানার ওই জনসভায়। আইএনএলডি’র পক্ষ থেকে নীতীশ কুমার, তেজস্বী যাদব, শরদ পাওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরি এবং ফারুক আবদুল্লাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এখান থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের সুর চড়ানো হবে। বিবেক গুপ্তা হিন্দিভাষী নেতা হওয়ায় তাঁকে সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এখন তৃণমূল কংগ্রেস নজর দিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের বিস্তার করার দিকে। ত্রিপুরা, গোয়া, মেঘালয়ের মতো রাজ্যেগুলিতে সংগঠন মজবুত করার কাজ চলছে। এমনকী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় খানিকটা সাফল্যও তারা পেয়েছে। সেখানে হরিয়ানার এই জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের উপস্থিতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন কোনও সমীকরণ তৈরি হতে চলেছে? কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের একটা দূরত্ব রয়েছে। আর এখানে আইএনএলডি’র সঙ্গে কংগ্রেসের স্থানীয় স্তরে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্পর্ক রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মহালয়ার দিনে হরিয়ানায় আইএনএলডি’র সভায় উপস্থিত থাকতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি। সুতরাং ওই সভা থেকে কোনও নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ বেরিয়ে আসে কি না সেটাই দেখার। আর যদি সেটা হয় তাহলে সত্যিই বিজেপির চাপ আছে ২০২৪ সালে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।