বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > TMC: দিব্যেন্দু অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল, জোর প্রস্তুতি শুরু

TMC: দিব্যেন্দু অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল, জোর প্রস্তুতি শুরু

তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।

৪ তারিখ নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও কেন আমান্য করা হল?‌ তা নিয়ে বিরক্ত তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী ভোটদানের বিষয়টি দলের নজরে রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তা নিয়ে শুনানিও চলছে।

শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের যাবতীয় নথি জমা পড়েছে সংসদে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এই বিষয়ে অবগত। কারণ সেখানে একাধিকবার তাঁর কাছে দরবার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে ভোট দিয়েছেন পিতা–পুত্র। তার জন্য শিশির অধিকারী–দিব্যেন্দু অধিকারীকে চিঠি দিয়েছেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছেন না তাঁরা।

ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?‌ সূত্রের খবর, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকার জন্য আগাম চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেই দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন তাঁরা। এই ঘটনা দেখিয়ে সংসদে দিব্যেন্দু অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন করা হবে। এবার দিব্যেন্দু অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের জন্য আবেদন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ হিসেবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করা হবে।

ঠিক কী জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস? পিতা–পুত্রকে‌ চিঠিতে সুদীপ লিখেছেন, ‘৪ অগস্ট জানানো হয়েছিল যে দলের লোকসভা–রাজ্যসভার সাংসদরা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকবেন। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি, আপনি উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।’ ৪ তারিখ নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও কেন আমান্য করা হল?‌ তা নিয়ে বিরক্ত তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী ভোটদানের বিষয়টি দলের নজরে রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তা নিয়ে শুনানিও চলছে।

ঠিক কী বলেছেন দিব্যেন্দু অধিকারী?‌ এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তমলুকের সাংসদ দিব্যন্দু অধিকারী বলেন, ‘‌আমার দিল্লির বাড়ির ঠিকানায় চিঠি এসেছে বলে জেনেছি। চিঠিতে কোথাও জবাব দেওয়ার কথা লেখা হয়নি। তাই আমি জবাব দেব না। যদি জবাব চাওয়া হতো নিশ্চয়ই জবাব দিতাম।’‌ আর বাবা শিশির অধিকারী বারাণসী গিয়েছেন। তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

বন্ধ করুন