গার্ডেনরিচে ১৩৪ ওয়ার্ডে ভেঙে পড়েছিল নির্মায়মাণ বেআইনি বহুতল। মারা গিয়েছিলেন ১৩ জন। আঙুল উঠেছিল রাজ্যে শাসকদলের কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়ে। তা সত্ত্বেও লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে মুখ ফেরায়নি গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ড। গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মালা রায় বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। গণনা শেষে দেখা যায়, তৃণমূল প্রার্থী ১৩,৫৮৩ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। এই জয় নিশ্চিত হওয়ার পরেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা কংগ্রেসের সমর্থনে সিপিএম প্রার্থী করেছিল সায়রা শাহ হালিমকে। বামফ্রন্টের আশা ছিল গার্ডেনরিচের বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ার পর সংখ্যালঘু ভোটাররা শাসকদলের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে সিপিএমের সংখ্যালঘু প্রার্থীকে সমর্থন করবেন। কিন্তু ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, ওই ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সায়রা। তৃতীয় স্থানে শেষ করেছেন বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী।
১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ২২,১৩৪। তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ১৪,৯৯৭ ভোট পেয়েছে। সিপিএম পেয়েছে ৪,৮৬৭ ভোট এবং বিজেপি পেয়েছে ১,৬০৩ ভোট। তৃণমূল নেতারা মনে করছেন, গোটা রাজ্যের মতো ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডেও সংখ্যালঘু ভোটারদের সমর্থন তাঁদের দিকেই রয়েছে।
গার্ডেনরিচে বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর শামস ইকবাল। শনিবার তিনি বলেন, “যে ঘটনা ঘটেছিল, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। এক জন প্রোমোটারের ভুলের জন্য এটা হয়েছিল। তবে মানুষ এলাকায় উন্নয়ন দেখেছেন। সেটা তাঁদের প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে। ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন ও মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাজে ভরসা রেখেছেন। তাই আমরা বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছি।"
এ বিজয় তৃণমূলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য, বিশেষ করে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার সমর্থন বজায় রাখার ক্ষেত্রে।