এবার জবাব দিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। বুধবার যে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল সেখানে নাম ছিল না দেবাংশু ভট্টাচার্যের। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে যায়। বিজেপি–সিপিএম থেকে বলা হচ্ছিল তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। এই দাবি আজ, বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে করেছেন দেবাংশু। এমনকী তিনি তৃণমূল কংগ্গেস ছাড়ছেন না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন। একই সঙ্গে দিলেন বার্তাও।
ঠিক কী বলেছেন দেবাংশু? এদিন যুব কমিটির নাম না থাকা নিয়ে তিনি বেশ কিছু কথা বলেছেন। এদিন ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, ‘গত ৪ মার্চ ২০২১ এবং ৩০ নভেম্বর ২০২২ দুটি দিন আমার কাছে একই। কারণ প্রথম তারিখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, আমি কেন বিধানসভার টিকিট পায়নি? এই নিয়ে তখন শোরগোল পড়েছিল। যে খেলা হবে বললেন তাঁকেই খেলায় নেওয়া হল না! এবার সবাই বলছে, দেবাংশু চৌকাঠে শুয়েই রইল। কিন্তু আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক। তাই দল যে দায়িত্ব দেবে সেটাই পালন করব। এভাবে বাকিদের বিভ্রান্ত করা উচিত নয়।’
দেবাংশু কেন যুবর কমিটিতে নেই? এই প্রশ্ন উঠছে চারিদিকে। আজ তার জবাব দিয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘অনেকে মিম যিনি করেছেন। সেটা দেখে ভাল লেগেছে। যিনি করেছেন তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ আমি মজা পেয়েছি। বিজেপি নেতা বলছেন, তাঁদের দলে আমায় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তাঁরা নিজের দল নিয়ে মাথা ঘামালে ভাল হয়। আমাকে আমার দল অন্য কোনও দায়িত্বে কাজে লাগাবে। তাই আমি যুবর কমিটিতে নেই। যদিও সায়নী ঘোষের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। সবসময় সাহায্য করেছেন এবং সমন্বয় করেছেন। আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’
কী ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলের যুব নেতা? এদিন বিরোধী দলগুলিকেও তুলোধনা করেন দেবাংশু। তিনি বলেন, ‘আমি তো শুভেন্দু–বৈশালী নই। যে পদ না পেলে দল ছেড়ে দেব। আপনার মা আপনাকে ভালবাসবে। আবার মা শাসন করবে। এটা পরিবারে যেমন হয় তেমন দলেও হয়। হয়তো দল আমাকে অন্য কোনও দায়িত্ব দেবে। সেটাই ফেসবুকে আপডেট করেছি। ওই পদে আমি নেই। তাই অনেকে ধরে নিলেন এবং মন্তব্য করলেন আমি দল ছেড়ে দিয়েছি। যাঁরা এটা করল তাঁরাই মুর্খামি করেছে। আমি দলের হয়ে কাজ করার জন্য প্রস্তুত। দলের উপর ভরসা রাখুন। আমার পাখির চোখ ২০২৪ সাল। দলকে জিজ্ঞাসা করেছি আমার পরবর্তী কাজ কী? সেটা জানালে সেভাবে কাজ করব। আমি তৃণমূল কংগ্রেসেই আছি। দল ছাড়িনি।’