মাঝে কিছু অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তবে পরে সব ঠাণ্ডা হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি আসন জিতেছে। কিন্তু তার পরও তাঁকে সরে যেতে হতে পারে। বাড়তি কোনও দায়িত্ব দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। এবার তিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি লিখেছেন। যা নিয়ে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত সদস্যরা জোর চর্চা শুরু করেছেন।
এদিকে তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বহুদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন দেখছেন। এবার সেখানে বদল করা হবে বলে তৃণমূল ভবন সূত্রে খবর। এই বিষয়টি নিয়ে নেতৃত্বের মধ্যে একপ্রস্থ আলোচনাও হয়েছে। সেখানে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি লিখে দ্রুত ছাত্র সংসদের নির্বাচন চেয়েছেন তিনি। আসলে রদবদলের আগেই এই নির্বাচন করিয়ে নিতে পারলে তাঁর কতটা প্রভাব সেটা দেখানো সম্ভব হবে। তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য ছাত্র রাজনীতির ময়দানে যথেষ্ট ভারী নাম। জনপ্রিয়ও বটে। সেখানে তাঁর দলে উন্নতি ঘটলেও ছাত্র সংগঠন কে দেখবেন? তা নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এখন তৃণাঙ্কুরের লক্ষ্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনে ব্যাপক রদবদল হতে চলেছে, লোকসভা নির্বাচনে ফলের জের!
অন্যদিকে এই ছাত্র সংগঠনে রদবদল যে হচ্ছে সেটা একপ্রকার নিশ্চিত। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পদে তিনজনের নাম আলোচনায় উঠে এসেছে। এই তিনজনের মধ্যে একজন মহিলা, আর বাকি দু’জনও ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন তৃণাঙ্কুর চাইছেন তাঁর উপস্থিতিতেই হয়ে যাক। তবে সেটা হবে কিনা এখনও চূড়ান্ত নয়। কারণ সামনে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ রয়েছে। তার প্রস্তুতি নিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রী–বিধায়করা ব্যস্ত। ফলে এখন ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভাবার সময় নেই। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে বলে সূত্রের খবর।
আবার তখন পাল্টে যেতে পারে তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। এমনটাই খবর মিলেছে। এই আবহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ‘অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই’ বলে গত ১৭ জুন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দিয়েছেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। ওই চিঠিতে তৃণাঙ্কুর লিখেছেন, ‘আমাদের রাজ্যে অনেকদিন ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় নতুন প্রজন্মের ছাত্র নেতা উঠে আসছে না। গভর্নিং বডিগুলিতে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি পাচ্ছে না। আমরা চাই আমাদের রাজ্যে দ্রুত ছাত্র সংগঠনগুলির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।’ তবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কবে হবে? সেটা জানা যায়নি।