একুশের নির্বাচনে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। ভরসা রেখেছিলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। বিজেপির আগ্রাসন–সহ বিরোধীদের আক্রমণকে হুটআউট করে তৃণমূল কংগ্রেসকে হ্যাট্রিক করিয়েছেন তিনি। এখন জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ঘুঁটি সাজানোর গুরুদায়িত্ব পালন করছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর মেধাকে কুর্নিশ জানিয়ে নতুন গান বেঁধেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। যা এবার দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে ‘বাংলার যুবরাজ’ গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এমনকী গানটিকে কলার টিউনও বানানো যাবে। যে কোনও নেটওয়ার্ক ইউজাররাই কলার টিউন হিসেবে পেতে পারেন গানটি। সেক্ষেত্রে এই কোড নম্বরটি ব্যবহার করতে হবে–৫৩৭১২৫৪৫৩১৫। তবে জিও সাভন অ্যাপ এবং এয়ারটেল ডব্লুওয়াইএনকে মিউজিক অ্যাপ থেকেও কলার টিউন করা যাবে গানটিকে।
অন্যদিকে এই গানটিতে অভিষেককে ‘বাংলার যুবরাজ’ বলে তুলে ধরা হয়েছে। গানের প্রতিটি লাইনে তুলে ধরা হয়েছে তাঁর লড়াইকে। তাই লেখা হয়েছে, ‘গরীবের ভগবান, নারীদের সম্মান তোমার সাথে জড়িয়ে/বিপদের দিনে পেয়েছি তোমায় পাশে, দিয়েছ দুহাত বাড়িয়ে।’ এমনকী ‘সবুজ সেনাপতি’ বলেও সম্মান জানানো হয়েছে অভিষেককে। এবার তিনি নিজে নয়াদিল্লি সফরে যাচ্ছেন। সেখানেও এই গানটি ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন দলের কর্মী–সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়েছিল দেবাংশু ভট্টাচার্যের খেলা হবে গান। নির্বাচনের স্লোগান হয়ে দাঁড়ায় ‘খেলা হবে’। এবার নতুন গানে অভিষেকের লড়াইকে তুলে ধরল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। গানটি গেয়েছেন কেশব দে। সুরও দিয়েছিলেন তিনি। আর গানের কথা লিখেছেন বাদল পাল। এই নিয়ে জোর চর্চাও শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের একটা সূত্রে বলা হচ্ছে, এখন দলের সংগঠনের কাণ্ডারী তিনিই। আবার যাঁরা দলকে নির্বাচনের মুখে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছিলেন এখন ফিরতে চাইছেন তাঁদেরকে কিন্তু কথা বলতে হবে অভিষেকের সঙ্গেই। সুতরাং এক ঢিলে দুই পাখি মারা হলো গানের মাধ্যমে।
এবার গানটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য লেখেন, ‘ক্রমাগত ব্যক্তিগত আক্রমণ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারকে পর্যন্ত অনৈতিক নিশানা, প্রতিটি ভাষণে একজন যুবনেতাকে নিয়ম করে হুমকি দেওয়া, সবই ব্যর্থ করেছেন বাংলার জনতা জনার্দন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে প্রমাণ করেছেন, বাংলার রক্তে আজও মিশে আছে সুভাষের তরুণের স্বপ্ন। আজও বাংলার যুবসমাজ স্বামীজীর পথেই হাঁটে।’