ছাত্র সংগঠন মজবুত থাকলে ভোটব্যাঙ্ক বাড়ে। তার প্রভাব পড়ে গোটা রাজ্যেই। কারণ একদিকে নতুন প্রজন্মের ভোট মেলে। অন্যদিকে আরও ছাত্রছাত্রীদের সংগঠনে নিয়ে এসে সদস্য বাড়ানো যায়। তাই এবার নতুন করে দলের ছাত্র সংগঠনকে ঢেলে সাজাল তৃণমূল কংগ্রেস। ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি’র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের উপরই আবার ভরসা রাখা হল। প্রাক্তন রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্তকেই চেয়ারপার্সন রাখা হচ্ছে। তাঁদের নিয়ে ৬৬ জনের পূর্ণাঙ্গ রাজ্য কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এদিকে সোমবার নতুন করে যে তালিকা তৈরি হয়েছে সেখানে উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ কলকাতার তিনটি সাংগঠনিক জেলা কমিটিকে বাদ রাখা হয়। তবে ৩৩টি জেলা কমিটিও গড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা আরও কাজ করবেন বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নতুন রাজ্য জেলা কমিটি ঘোষণা করা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এখন শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে তপ্ত রাজ্য–রাজনীতি। সেখানে এই সংগঠনের নয়া কমিটি কেমন উদ্যোগ নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
অন্যদিকে রাজ্য কমিটি বা জেলা কমিটির কোনও পদেই ছাত্রনেতা সুপ্রিয় চন্দর নাম না থাকায় তিনি আজ, মঙ্গলবার সকালে সংগঠন ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি নানা বিষয়ে দলের গাইডলাইনের বাইরে গিয়ে ভিন্নমত পোষণ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির এই ছাত্রনেতা। তাই সমস্ত কমিটি থেকে বাদ রাখা হচ্ছে। এটা জানতে পেরেই তিনি নিজের ফেসবুক কভার বদলে ফেলেন। আর মঙ্গলবার তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ছাড়লেন বলে সূত্রের খবর। যদিও ছাত্র সংগঠন এই বিষয়ে মুখ খোলেনি।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ৯ জন সহ–সভাপতি, ১৫ জন সাধারণ সম্পাদক এবং ১১ জন সম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়েছে। রয়েছেন ২৯ জন কার্যনির্বাহী সদস্যও। সেখানেই বাদ পড়ে সুপ্রিয় চন্দ লিখেছেন, ‘থ্যাঙ্ক ইউ’। আগামী ২৯ মার্চ ধর্মতলার শহিদ মিনারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং যুব সংগঠনের যৌথ সমাবেশ আছে। যার মূল বক্তা দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup